শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার :খাদ্যমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি
  ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা বর্তমান সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। আগামী এক দশকে বাংলাদেশের খাদ্য পরিকল্পনাকে বিবেচনায় নিয়ে 'ন্যাশনাল পাথওয়ে ডকুমেন্ট (পথ নির্দেশকা)' তৈরি করা হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়ার চালিকাশক্তি হবে এই 'পাথওয়ে ডকুমেন্ট' এমনটি জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

রোববার ঢাকায় তথ্য ভবন অডিটরিয়ামে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে 'জাতিসংঘ ফুড সিস্টেম সামিট ২০২১-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিতকরণ' কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের লক্ষ্যে ফুড সিস্টেম ট্রান্সফরমেশনের বিভিন্ন স্তরকে নির্ধারণ করার জন্য রোমভিত্তিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ফুড সিস্টেম সামিট আহ্বান করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। ফুড সিস্টেম সামিট ২০২১-এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের 'পাথওয়ে ডকুমেন্ট' উপস্থাপন করবেন।

দেশে অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা সর্বজন স্বীকৃত উলেস্নখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, জনগণকে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যগ্রহণ সম্পর্কেও সচেতন করতে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। একই সঙ্গে জনগণের কাছে 'পাথওয়ে ডকুমেন্ট' সম্পর্কে সঠিক বার্তা পৌঁছাতে পারে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর একটা সময় মানুষকে এক বেলা ভাত খেয়ে জীবন নির্বাহ করতে হয়েছে। সেই বাংলাদেশের মানুষ এখন না খেয়ে থাকে না। খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে আমাদের সবদিকেই উন্নতি হয়েছে। এবার আমাদের পুষ্টি নিরাপত্তার দিকে নজর দিতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন বলেন, খাদ্য পাওয়ার অধিকার নাগরিকের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। রাষ্ট্র প্রয়োজন-মাফিক নাগরিকের খাদ্য নিশ্চিত করবে।

\হঅনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, আমরা একটি পরিকল্পনার মাধ্যমে সবার মধ্যে খাদ্য-সচেতনতা ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করছি। জীববৈচিত্র্য রক্ষাসহ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা যেন স্বাস্থ্যসম্মত হয়, সেদিকেও গুরুত্ব দিচ্ছি।

অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন এবং গেইনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডক্টর রুদাবা খন্দকার বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (এফপিএমইউ) মো. শহীদুজ্জামান ফারুকী প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে