সংলাপ যেন তামাশার না হয়: বাম জোট

প্রকাশ | ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
জাতীয় সংসদ নিবার্চনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি পেশ করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট মানববন্ধন করে Ñযাযাদি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপকে ইতিবাচক হিসেবে অভিহিত করে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেছেন, এ সংলাপ যেন লোক দেখানো না হয়। সংলাপ যেন তামাশার না হয়। মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে সংকট নিরসনে রাজনৈতিক দলসমূহের সংলাপের উদ্যোগ নিতে রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার আগে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়াকার্সর্ পাটির্র সাধারণ সম্পাদক সাইফুল এ কথা বলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে বঙ্গভবন অভিমুখে যেতে চাইলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দৈনিক বাংলার মোড়ে তাদের আটেক দেয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সাইফুল হক বলেন, তালগাছটা আমারÑ এ নীতি নিয়ে কোনো কাজ করলে সংলাপ কোনো কাজে আসবে না। খোলা মন নিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ গড়ে তোলার মন নিয়ে সংলাপ করতে হবে। সরকারকে পিছু হটতে হবে। তাহলে মানুষের মধ্যে এ সরকার সম্পকের্ আস্থার জায়গা তৈরি হবে। তিনি বলেন, আমরা চাই সব রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে আলোচনা করবে সরকার। পাশাপাশি এ সব বিষয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাযর্কর পদক্ষেপ দেখতে চাই। তার বক্তব্য শেষে সাইফুল হকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে গিয়ে স্মারকলিপি দিয়ে আসে। এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, বাসদের বজলুর রশিদ ফিরোজ, সিপিবি নেতা সাজ্জাদ জহির চন্দন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পাটির্র সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহŸায়ক হামিদুল হকসহ জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা। একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরির জন্য বাম গণতান্ত্রিক জোট দীঘির্দন ধরে নিম্নলিখিত চার দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছে। তাদের দাবিগুলো হচ্ছেÑ তফসিল ঘোষণার পূবের্ জাতীয় সংসদ ভেঙে দিতে হবে। বতর্মান সরকার পদত্যাগ করে নিবার্চনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠন করতে হবে। জনগণের আস্থাহীন বতর্মান নিবার্চন কমিশন পুনগর্ঠন করতে হবে এবং সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবতর্নসহ গোটা নিবার্চন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে হবে।