মতবিনিময় সভায় বক্তারা

নারীর ক্ষমতায়নে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির আহŸান

প্রকাশ | ০১ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সিডও সনদের পূণর্ অনুমোদন ও বাস্তবায়নের দাবিতে নাগরিক সমাজ দীঘির্দন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসলেও তা খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি। শুধু ধমের্র দোহাই দিয়ে নারীদের ওপর অন্যায়, নিযার্তন ও বৈষম্যকে জিইয়ে রাখা হচ্ছে। তাই এখন সময় এসেছে এ দাবিতে আরো বেশি কঠোর ও শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলার। পাশাপাশি প্রগতিশীল নারী সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলোকে (প্লাটফমর্গুলোকে) যুক্ত করে সরকারের উপর প্রবলভাবে চাপ সৃষ্টি করা। বুধবার সকালে দেশের ৫৭টি মানবাধিকার ও নারী অধিকার সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় প্লাটফমর্ সিটিজেনস ইনিশিয়েটিভস অন সিডও, বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক জাতীয় মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভানেত্রী আয়েশা খানমের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান, কাজী রোজী, সেলিনা জাহান লিটা ছাড়াও ইউএন উইমেন’র প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট জুলিয়া পেলোসি, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নিবার্হী পরিচালক রোকেয়া কবীর ও সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু, জেন্ডার বিশেষজ্ঞ ফওজিয়া খোন্দকার ইভা সহ প্রমুখ। স্টেপস টুয়াডর্স ডেভেলপমেন্টের নিবার্হী পরিচালক রঞ্জন কমর্কারের সঞ্চালনায় সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান বলেন, যে সুন্দর সমাজ গড়ার লক্ষ্য ও আদশর্ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম তা আজো বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা এমন একটি সমাজ চেয়েছিলাম যেখানে সকল ধমর্, বণর্, জাতি, জেন্ডার (লিঙ্গ) নিবিের্শষে সবাই সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করতে পারবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই লক্ষ্য এখনো অজির্ত হয়নি বলে আমাদের নারী ও বিভিন্ন ধমর্-বণর্ গোত্রের মানুষের আজো তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে যেতে হচ্ছে। কাজী রোজী বলেন, দীঘির্দনের নারী আন্দোলনের ফসল হিসেবে নারীরা আজ অনেক এগিয়ে গেছে এবং যাচ্ছে। তবে এই অগ্রযাত্রায় পুরুষদেরও সহযাত্রী ও সহযোগী করতে হবে। তাহলেই এই যাত্রাপথ মসৃণ ও সহজ হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী, স্পিকার প্রমুখ এখন নারী। সংসদেও অনেক নারী সদস্য আছেন যারা বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে সরব থাকেন। আমাদের অনেক সমস্যা আছে, তেমনি সমাধানের পথও আছে, সম্ভাবনা আছে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের নভেম্বরে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের ৬৫তম সিডও অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এই অধিবেশনে বাংলাদেশের সরকার এবং নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে প্রেরিত দুটি প্রতিবেদন মূল্যায়ন করে সিডও কমিটি কিছু সুপারিশ প্রদান করে সিটিজেনস ইনিশিয়েটিভস অন সিডও। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারকে আগামী ২০২০ সালে পরবতীর্ জাতীয় প্রতিবেদন এবং ২০১৮ সালের মধ্যে কয়েকটি সুনিদির্ষ্ট বিষয়ের ওপর লিখিত প্রতিবেদন পেশ করার অনুরোধ জানান।