ছেলেমেয়েদের বিভ্রান্ত করবেন না: নাহিদ

জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা শুরু

প্রকাশ | ০২ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা। ছবিটি বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে তোলা Ñযাযাদি
জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার প্রথম দিন প্রশ্নফঁাসের অভিযোগ না ওঠায় সন্তোষ প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ‘প্রশ্ন ফঁাসের ভুয়া খবর’ প্রচার না করতে গণমাধ্যমকমীের্দর অনুরোধ জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় এবং মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে জেএসসির কেন্দ্র পরিদশর্ন শেষে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা যা ব্যবস্থা নেয়ার নিয়েছি। গত এইচএসসি পরীক্ষায় কেউ সন্দেহের কথাও শোনেননি, এবারও সেই রকম প্রশ্ন কেউ তোলেননি, কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মিলে প্রশ্নফঁাস ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আগ বাড়িয়ে আপনারা (গণমাধ্যমকমীর্) বলেন, ... দয়া করে প্রমাণ ছাড়া কেউ বলবেন না, ছেলেমেয়ে আপনাদের সকলের, বিভ্রান্ত করবেন না। ‘অনুরোধ করি ভুয়া বিষয়গুলো যেন প্রচার না হয়, তাহলে একটা সুযোগ পেয়ে যায়, তখন পঁাচজনে বলে।’ দেশের দুই হাজার ৯০৩টি কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার থেকে একযোগে শুরু হয়েছে জুনিয়র স্কুল সাটিির্ফকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সাটিির্ফকেট (জেডিসি) পরীক্ষা, যাতে অংশ নিচ্ছে ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষাথীর্। প্রথম দিন জেএসসিতে বাংলা, বাংলা প্রথম পত্র (অনিয়মিত পরীক্ষাথীের্দর জন্য) এবং জেডিসিতে কুরআন মজিদ ও তাজবিদ বিষয়ের পরীক্ষা হচ্ছে। দেশের ২৯ হাজার ৬৭৭টি প্রতিষ্ঠানের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়াদের এই পরীক্ষা চলবে আগামী ১৫ নভেম্বর পযর্ন্ত। কয়েক বছর আগে কমর্কতাের্দর সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষার হলে ঢুকে সমালোচনায় পড়া নাহিদ গত তিন বছর ধরে পাবলিক পরীক্ষার হলে না গিয়ে বারান্দা থেকে পরিদশর্ন করছেন। সকালে মতিঝিলের দুটি স্কুলের পরিস্থিতি ঘুরে দেখার পর সাংবাদিকদের সামনে এসে তিনি দেশের শিক্ষা খাতের অগ্রগতি নিয়েও কথা বলেন। ২০০৯ সালে অধের্ক শিশু বিদ্যালয়ে আসত না জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা ভতির্ হতো তাদের ৪৮ শতাংশ পঞ্চম শ্রেণি শেষ না করেই ঝরে পড়ত। তাদের স্কুলে নিয়ে আসা ও ধরে রাখাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। এখন প্রতি বছরই শিক্ষাথীর্ বাড়ছে, ঝরে পড়া কমছে। ‘অবশ্যই আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ মানসম্পন্ন ও গুণগত মান বৃদ্ধি করে সব ছেলেমেয়ে গড়ে তোলা, এটা সারা দুনিয়ায় চ্যালেঞ্জ। ‘অনেকে বলেন, (শিক্ষার) মান বাড়েনি, এটা ঠিক না। যুগের সাথে যা বাড়া উচিত হয়তো তাতে ঘাটতি আছে, শিক্ষকের সমস্যা আছে। সব মিলিয়ে তারা টিকে থাকে, আমাদের উদ্দেশ্যটা সফল হয়েছে।’