আশার মুকুল ঝরতে শুরু করেছে, সংলাপ প্রসঙ্গে রিজভী

প্রকাশ | ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী Ñযাযাদি
নিবার্চনের আগে বিরোধপূণর্ রাজনৈতিক অবস্থানের মধ্যে সংলাপের উদ্যোগে যে ‘আশার’ সঞ্চার হয়েছিল, ক্ষমতাসীনদের অনড় অবস্থানের কারণে তা ফিকে হতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী। সংলাপের পরদিন শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সরকারি জোটের সংলাপে সরকারের যে একগুয়ে মনোভাব, তা গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নিবার্চনের জন্য বড় ধরনের অশনি সংকেত। সংলাপে মানুষের মনে যে আশাবাদ জেগে উঠেছিল, সংলাপ শেষে সেই আশার মুকুল ঝরতে শুরু করেছে।’ গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রাতে গণভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। ওই বৈঠকে খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিবার্চন, নিবার্চন কমিশন পুনগর্ঠনসহ ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব মিজার্ ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সংলাপ শেষে রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে কামাল হোসেন বলেন, এ আলোচনায় বিশেষ কোনো সমাধান তারা পাননি। আর জোটের সবচেয়ে বড় দল বিএনপির ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনায় তারা সন্তুষ্ট নন। আর রিজভী শুক্রবার নয়া পল্টনে বিএনপি কাযার্লয়ের সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাত দফা দাবির প্রতি সাড়া না দেওয়ার আওয়ামী অনড়তায় সুষ্ঠু নিবার্চনের অগ্রগতি তিমিরাচ্ছন্ন হল। যে কোনো জায়গায় যে কোনো সময় আবারও আলোচনা হতে পারে- এমন কথা আওয়ামী লীগ নেতারা বললেও বিএনপি নেতা রিজভী সংলাপ নিয়ে এখন পযর্ন্ত ‘আশাপ্রদ’ কিছু দেখছেন না। তিনি যে আশা ফুটে উঠেছিল, ফুলের মুকুল যেমন ঝরে যায় আস্তে আস্তে। সেটা এখন ঝরে যেতে শুরু করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, সংলাপের পরও বিরোধী দলের নেতাকমীের্দর গ্রেপ্তার বন্ধ হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে সংলাপ শেষ হওয়ার পরপরই টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালেহ মোহাম্মদ ইথেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকার অনমনীয় মনোভাব দেখাতে থাকলে সাত দফা দাবি ‘রাজপথেই আদায় করতে হবে’ মন্তব্য করে নেতাকমীের্দর ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান রিজভী। তিনি বলেন, সরকারের যদি বোধদয় হয়, যদি একটা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নিবার্চন করার জন্য আন্তরিকতা থাকে, যদি দেশকে বিভেদ ও বিভাজনের দিকে তারা ঠেলে না দেন তাহলে আবার তারা বসবেন। বসে এমন একটা ঐকমত্য তৈরি করবেন, যেখানে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে নিভের্য় যেতে পারবে এবং অবশ্যই সেটা নিদর্লীয় সরকারের অধীনে হবে। অবশ্যই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে- এ ব্যাপারে আমরা আপসহীন। অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া, আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন, আবেদ রাজা, সাইফুল ইসলাম পটু সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।