নতুন রপ্তানি নীতিমালায় খুলবে বাণিজ্যের দ্বার

প্রকাশ | ০৪ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
পোশাক খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রণয়ন করা হচ্ছে নতুন রপ্তানি নীতিমালা। সহজ শতের্ ঋণ প্রদান, শিল্পনগরী প্রতিষ্ঠাসহ রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুবিধা থাকছে এ নীতিমালায়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নতুন নীতিমালায় রপ্তানি পণ্যে প্রণোদনামূলক সুবিধার জন্য মূল্য সংযোজন হার ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব আছে। এ ছাড়া শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য সব ধরনের যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক সুবিধা দেয়া হবে। সরকারের বাস্তবায়নাধীন ১০০টি বিশেষ অথৈর্নতিক এলাকায় রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠার জন্য ভূমি বরাদ্দসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও কমপ্লায়েন্স প্রতিপালনে অগ্রাধিকার দেয়ার কথাও বলা হয়েছে নীতিমালায়। দেশে রপ্তানিযোগ্য পণ্যের কাতারে যুক্ত হয়েছে প্লাস্টিকের তৈরি পণ্য, কঁাকড়া, কাজু বাদাম, চামড়াজাত পণ্য, সিনথেটিক জুতা ও অ্যাকটিভ ফামাির্সউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট। এছাড়া রপ্তানিতে গতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে আধুনিক আইসিডি নিমার্ণ, চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি সম্প্রসারণ, কনটেইনার টামির্নালে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। একইসঙ্গে রপ্তানি শিল্পের ফেব্রিকস, স্যাম্পল, কঁাচামাল দ্রæত সরবরাহের জন্য বন্দর বা বিমানবন্দরে পৃথক উইন্ডো স্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে। অথর্নীতিবিদরা বলছেন, দেশের রপ্তানির অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৮তম বৃহৎ অথর্নীতির দেশ হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী ও খালি কনটেইনার পরিবহন হয়েছে ১৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৪ টিইইউ। গত বছর একই সময়ে পরিবহন হয়েছিল ১৬ লাখ ৯৫ হাজার ৬৮৪ টিইইউ কনটেইনার। বন্দর দিয়ে কনটেইনারে যেসব পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা হয়, তার বড় অংশই পোশাক শিল্পের কঁাচামাল ও তৈরি পোশাক পণ্য। এছাড়া আছে ইস্পাত কারখানার কঁাচামাল, খাদ্যপণ্য, ওষুধ, রাসায়নিক, ইলেকট্রনিক সামগ্রীসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। একসময় পোশাক ছিল রপ্তানির একমাত্র উপাদান। পরে এর সঙ্গে যুক্ত হয় চামড়াজাত পণ্য। নতুন নীতিমালায় চামড়াশিল্পের কঁাচামাল সহজলভ্য করা এবং ‘সেন্ট্রাল বন্ডেড ওয়্যার হাউস’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে কমপ্লায়েন্ট পাদুকা ও চামড়াজাত শিল্প খাতের সংশ্লিষ্ট কারখানাগুলোকে সবুজ রং শ্রেণিভুক্ত করা হবে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইটিপির মাধ্যমে তরল ও কঠিন বজ্যর্ ব্যবস্থাপনার অধীনে পরিবেশবান্ধব উপায়ে আমদানিকৃত চামড়া প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী পুনরায় রপ্তানির অনুমতি দেয়া হবে।