খিলক্ষেতের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

ক্ষমতায় এলে নৌবাহিনী আরও শক্তিশালী হবে

তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে নৌবাহিনীর জন্য প্রথম আধুনিক ফ্রিগেড কিনেছিলাম। নৌবাহিনীকে আরও উন্নত কীভাবে করা যায় তার পদক্ষেপ আমরা নিয়েছিলাম’

প্রকাশ | ০৬ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার খিলক্ষেতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘঁাটি শেখ মুজিব কমিশনিং নেভি, মিউজিয়াম অ্যান্ড মেরিটাইম ওয়াল্ডর্ এবং ২২টি বহুতল ভবন উদ্বোধন করেন Ñফোকাস বাংলা
বাংলাদেশ নৌবাহিনী একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভবিষ্যতে আবার ক্ষমতায় এলে এ বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে তার। সোমবার খিলক্ষেতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘঁাটি ‘শেখ মুজিব’-এর কমিশনিং অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে নৌবাহিনীর জন্য প্রথম আধুনিক ফ্রিগেড কিনেছিলাম। নৌবাহিনীকে আরও উন্নত কীভাবে করা যায় তার পদক্ষেপ আমরা নিয়েছিলাম এবং নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনাও আমাদের ছিল। এরপর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে নৌবাহিনীর উন্নয়নে বিভিন্ন কমর্সূচি বাস্তবায়ন করার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৯ থেকে ২০১৮, আমি বলব এর মধ্যে নৌবাহিনী আজকে আন্তজাির্তকভাবে মানসম্পন্ন একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে। তাই নৌবাহিনীকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। ‘ভবিষ্যতে যদি আমরা আবার আসতে পারি, নিশ্চয়ই আমরা এই নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলব, সেই লক্ষ্য আমাদের রয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বানৌজা শেখ মুজিব ঢাকা অঞ্চলের নৌ নিরাপত্তার পাশাপাশি দুযোের্গ মানুষের কল্যাণ ও দুঘর্টনায় উদ্ধার তৎপরাতায় ভূমিকা রাখবে। ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে বানৌজা শেখ মুজিব ঘঁাটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল। ঢাকা নৌ অঞ্চলে নৌ সদর দপ্তরে একটি ছোট ঘঁাটি ছাড়া আর কোনো ঘঁাটি এর আগে ছিল না।’ এ অনুষ্ঠান থেকেই ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা অঞ্চলে নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণ ও আবাসিক ব্যবহারের জন্য ২২টি বহুতল ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া সাভারে বিএন টাউনশিপের ভিত্তি ফলক উন্মোচন করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, যারা আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও সাবের্ভৗমত্বের জন্য কাজ করবে, স্বাধীনতা ও সাবের্ভৗমত্বের অতন্দ্র প্রহরী, তারা এবং তাদের পরিবারবগর্ সুন্দরভাবে বসবাস করবে। সুন্দরভাবে জীবন-যাপন করবে এবং আন্তরিকতার সাথে দেশের জন্য কাজ করবে। ‘সেই লক্ষ্য নিয়ে আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি। একদিকে যেমন দেশের আথর্-সামাজিক উন্নয়ন করে যাচ্ছি, অথৈর্নতিকভাবে দেশকে মজবুত করছি। অপরদিকে আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক এই বাহিনীগুলিকে আধুনিক করা এবং যাতে বিশ্বে একটা মযার্দা নিয়ে চলতে পারি।’ শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন স্বাধীন, সাবের্ভৗম বাংলাদেশের উপযোগী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে। তাই তিনি সশস্ত্র বাহিনীর জন্য প্রতিরক্ষা নীতি তৈরি করে দিয়েছিলেন। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবণর্জয়ন্তীর আগেই বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমূক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যের কথাও তিনি এ অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী সকালে বানৌজা শেখ মুজিব ঘঁাটিতে পেঁৗছালে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন আহমেদ তাকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী বানৌজা শেখ মুজিবের কমিশনিং ফরমান হস্তান্তর করেন ঘঁাটির কমান্ডারকে। পরে তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা অঞ্চলের নৌ কমান্ডার, কমর্কতার্ ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিভিন্ন ঐতিহাসিক অজর্ন নিয়ে লেখা ‘বাংলাদেশ নেভি ইন দ্যা টোয়েন্টি ফাস্টর্ সেঞ্চুরি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয় এ অনুষ্ঠানে।