ঐক্যফ্রন্টের জনসভা ঘিরে যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী

প্রকাশ | ০৭ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
রাজধানীর সোহরাওয়াদীর্ উদ্যানে মঙ্গলবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভা ঘিরে আশেপাশের বিভিন্ন সড়কে ছিল তীব্র যানজট Ñবিডিনিউজ
রাজধানীর সোহরাওয়াদীর্ উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভা ঘিরে লোকজনের আনাগোনা শুরু হয় সকাল থেকেই। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সে সংখ্যা ক্রমেই বাড়ে। আর সমাবেশে আগত নেতাকমীের্দর চাপের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে বাড়ে যানজট। মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, হাইকোটর্, পল্টন এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুভোের্গ পড়তে হয় নগরবাসীকে। এদিকে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সদস্যদেরও কাজ করতে দেখা গেছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে নেতাকমীর্রা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। মিছিল নিয়ে অংশ নেন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার নেতাকমীর্রা। এতে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় সমাবেশস্থলকেন্দ্রিক যানজট ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়। একপযাের্য় শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন, বাংলামোটর থেকে শাহবাগ, ভিআইপি রোড থেকে মৎস্য ভবন, পল্টন-প্রেসক্লাব থেকে হাইকোটর্ পযর্ন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির নিয়মিত ফোসর্ ও ট্রাফিক বিভাগ এক সঙ্গে কাজ করেন। তারা রাস্তা থেকে সোহরাওয়াদীর্র দিকে মিছিলসহ সবাইকে চলে যেতে অনুরোধ করেন। যানজটে দুভোের্গ পড়া হাসিনা খাতুন নামে খাজাবাবা পরিবহনের এক যাত্রী বলেন, ‘সমাবেশের কারণে গাড়ি আটকানো ঠিক না। আমি দুই ঘণ্টা ধরে শাহবাগ-মৎস্য ভবন মধ্যকার এলাকায় আটকে রয়েছি। গাড়ির চাকা চলছেই না।’ গাড়ির চালক ফয়সাল বলেন, ‘পরিবহনকে সমাবেশের বাইরে রাখা উচিত।’ যানজটের বিষয়ে ডিএমপির ইন্সপেক্টর হাফিজ বলেন, ‘আমরা চাই পরিবহন চলাচল করুক, রাস্তা পরিষ্কার থাকুক। এ জন্য আমরা যানজট নিরসনে মিছিলগুলোকে সমাবেশ এলাকায় চলে যেতে অনুরোধ করি।’ মঙ্গলবারের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট উদ্যোক্তা ড. কামাল হোসেন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব। সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মিজার্ ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাবেশস্থলে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠনের ঢাকা মহানগরীর নেতাকমীর্রা অবস্থান নেন।