জিয়ার কবরে বিএনপির শ্রদ্ধা

প্রকাশ | ০৮ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
৭ নভেম্বরের স্মরণে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস পালনের অংশ হিসেবে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি। দলের মহাসচিব মিজার্ ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ নেতাকমীর্রা বুধবার সকালে শেরে বাংলা নগরে জিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করেন। তারা সেখানে মোনাজাতেও অংশ নেন। জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুনীির্ত মামলায় পঁাচ বছরের সাজার রায়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ফেব্রæয়ারি থেকে কারাগারে থাকায় এ বছর তাকে ছাড়াই দিনটি পালন করছে বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, জ্যেষ্ঠ নেতা আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, মোহাম্মদ শাহজাহান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, সানাউল্লাহ মিয়া, দেওয়ান সালাহউদ্দিন, আফরোজা আব্বাস, নাজিম উদ্দিন আলম, কাজী আবুল বাশারসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকমীর্রা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর শেরে বাংলা নগর থেকে গণভবনের উদ্দেশে রওনা হন মিজার্ ফখরুলসহ দলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা। সেখানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে সাত দফা দাবি নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপে বসেন তারা। যাওয়ার আগে মিজার্ ফখরুল জিয়ার কবর প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনায় সাত দফা দাবি আমরা তুলে ধরব। সরকার যদি সত্যিকার অথের্ একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা রাখতে চায়, একই সঙ্গে একটি অবাধ সুষ্ঠু নিবার্চন চায়, জনগণের অধিকারকে ফিরিয়ে দিতে চায়, তাহলে নিশ্চয়ই এই দাবিগুলো নিয়ে একটি সুচিন্তিত মতামত আসবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। বিএনপির ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস পালনের অংশ হিসেবে সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কাযার্লয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ ছাড়া বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে বিশেষ পোস্টার। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাÐের পর টালমাটাল পরিস্থিতিতে ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানে গৃহবন্দি হওয়ার পর পাল্টা অভ্যুত্থানে তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর মুক্ত হন। এর মধ্য দিয়ে জিয়া ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন, হন দেশের প্রথম সামরিক আইন প্রশাসক। পরে সামরিক আইন প্রশাসক থেকে রাষ্ট্রপতি হওয়া জিয়ার তত্ত¡াবধানেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠিত হয়। বতর্মানে আওয়ামী লীগের জোট শরিক জাসদ এই দিনটিকে ‘সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান’ দিবস হিসেবে পালন করে। আওয়ামী লীগ পালন করে ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ হিসেবে।