ঢাকা-চট্টগ্রাম বুলেট ট্রেন চলাচলে শিগগিরই কাজ শুরু

প্রকাশ | ০৮ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
শিগগির শুরু হচ্ছে বুলেট ট্রেন চলাচলে উপযোগী ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ নিমার্ণকাজ। ঢাকা থেকে কুমিল্লার লাকসাম হয়ে চট্টগ্রাম পযর্ন্ত এই রেলপথ নিমার্ণ করা হবে। ইতোমধ্যে সরকার এ-সংক্রান্ত প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। চায়না রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন করপোরেশন লিমিটেডের সঙ্গে সোমবার সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। প্রকল্পটি চীনের সঙ্গে জি-টু-জি পদ্ধতিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রায় ৩০ হাজার ৯৫৫ কোটি সাত লাখ টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রকল্প সহায়তা হিসেবে চীন থেকে পাওয়া যাবে ২৪ হাজার ৭৬৪ কোটি ছয় লাখ টাকা। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে সেকশন করিডোরের দৈঘর্্য ৩২০ দশমিক ৭৯ কিলোমিটার। বতর্মানে ঢাকা থেকে ট্রেন বৃত্তাকার পথে টঙ্গী-ভৈরব বাজার-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা হয়ে চট্টগ্রামে পেঁৗছায়। এতে সময় লাগে ৬-৮ ঘণ্টা। জানা গেছে, রেলপথ মন্ত্রণালয় এই প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই, নকশা প্রণয়ন ও নিমার্ণকাজের জন্য পরামশর্ক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নকশা তৈরির কাজেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত নকশা জমা দেয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাতায়াতে সময় লাগবে মাত্র দুই ঘণ্টা। বুলেট ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে চলবে। যাত্রীদের সময়ের দূরত্ব কমিয়ে আনতে বতর্মান সরকার এই পরিকল্পনা গ্রহণ করে। প্রস্তাবিত দ্রæতগতির রেলপথটি যাবে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মধ্য দিয়ে। এই পথে ঢাকা থেকে কুমিল্লার লাকসাম হয়ে চট্টগ্রাম পযর্ন্ত রেললাইন নিমার্ণ করা হলে সেকশনের দৈঘর্্য প্রায় ৯০ কিলোমিটার কমে যাবে। এতে যাত্রীদের দ্রæত সময় যাতায়াতের সুবিধার পাশাপাশি রেলের পরিচালন ব্যয় ও পরিবহন ব্যয় কমে যাবে। রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটে ট্রেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জানান, রেললাইনের উন্নয়ন করে দেশের সব বিভাগীয় শহরে বুলেট ট্রেন চালু করা হবে। সবর্প্রথম ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বুলেট ট্রেন চালুর কাজ চলছে। চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের বেশিরভাগ কাজ চলে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই। তাই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পণ্য পরিবহনও হয় বেশি। বুলেট ট্রেন চালু হলে ব্যবসায়ীরা দ্রæত পরিবহন সুবিধা পাবেন। রেলপথ মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, বতর্মান সরকারের উদ্যোগেই এই প্রকল্প নেয়া হয়। এরই মধ্যে চীনের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। আশা করছি, নিবার্চনের পর জানুয়ারির দিকে কাজ শুরু হবে।