সব দল রাজি না থাকলে ইভিএম নয়: শামসুল হুদা

প্রকাশ | ১১ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
এ টি এম শামসুল হুদা
জাতীয় নিবার্চনে সব দল রাজি না হলে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা উচিত নয় বলে মনে করেন সাবেক প্রধান নিবার্চন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা। শনিবার ‘জাতীয় নিবার্চনী অলিম্পিয়াড’ শীষর্ক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। সেমিনারে সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, ‘নিবার্চন নিয়ে সরকার যে তড়িঘড়ি করছে তা মোটেও জনগণের কাছে বোধগম্য নয়।’ সুজন আয়োজিত এ সেমিনারে অংশ নেয় সারাদেশ থেকে অসংখ্য শিক্ষাথীর্। বতর্মান সরকারের কমর্কাÐ ছাড়াও যেখানে আলোচনা হয় জাতীয় নিবার্চনকে নিয়ে। এ সময় সাবেক সিইসি ইভিএম ব্যবহার নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। সাবেক সিইসি ড. এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, ‘মদ্দা কথা হচ্ছে, যে আপনি একটা ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করতে চান সব দলের অংশগ্রহণে। তো সেখানে সকল দল যদি এটা করতে রাজি না হয়, এ রকম বিষয় তো করা উচিত নয়।’ সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক দল অন্যান্য অংশীজনকে ডেকে এটা প্রমাণ করানো। কিন্তু এগুলো কিছুই করে না। আর বিশেষজ্ঞরা বলে, এই জিনিস সম্পকের্ জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে, রাজনৈতিক ঐকমত্য সৃষ্টি করতে বছরের পর বছর লেগে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেন এত তড়িঘড়ি করে? কার স্বাথের্?’ সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, ‘সংসদের মেয়াদ ২৮ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে। তাই তড়িঘড়ি করে ২৩ ডিসেম্বর নিবার্চন না করে সরকার চাইলে তা সময় আরও বাড়াতে পারত।’