বিস আয়োজিত সম্মেলন

চীন-ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে চিন্তিত নয় ঢাকা

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
দক্ষিণ ও পূবর্ এশিয়া অঞ্চলে চীন ও ভারতের সঙ্গে আন্তঃযোগাযোগ ও বাণিজ্য সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশ চিন্তিত নয় বলে জানিয়েছেন অথর্ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মুহাম্মদ আবদুল মান্নান। তিনি বলেছেন, বতর্মান সরকার খোলা মনে সব দেশের সঙ্গেই আন্তঃযোগাযোগ ও বাণিজ্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। দক্ষিণ ও পূবর্ এশিয়ায় চীন ও ভারতের সঙ্গে এই সহযোগিতা বাড়াতে সরকার কাজ করছে। এ সহযোগিতা নিয়ে সরকার কোনোভাবে চিন্তিত নয়। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন আবদুল মান্নান। ‘দক্ষিণ এশিয়ার জন্য বিআরআই ও বিবিআইএন উদ্যোগের গুরুত্ব’ শীষর্ক দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করে বিস ও কোসাট। বুধবার এ সম্মেলনের উদ্বোধন হয়। সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি অথর্ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে সরকার সতকর্ রয়েছে। ঋণের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনার চেয়ে অথৈর্নতিক বিবেচনাকেই আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি। তিনি বলেন, চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) ও বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল (বিবিআইএন) উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। এই দুই উদ্যোগের বাস্তবায়ন চাই আমরা। বতর্মান সরকারের আমলে আন্তঃযোগাযোগ ও আঞ্চলিক যোগাযোগকে আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি। সে কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল, সড়ক, বিমান, নৌপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটেছে। একইসঙ্গে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গেও যোগাযোগ বেড়েছে। চীনের সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ বাড়াতে আগ্রহী। সম্মলেনে পলিসি রিসাচর্ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নিবার্হী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বিআরআই চীনের উদ্যোগ। এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে আমরা পূবর্ দিকে যোগাযোগ বাড়াতে পারবো। আর বিবিআইএন প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্যোগ। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো সম্ভব হবে। তাই দুটি উদ্যোগই আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূণর্। নেপালের সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের পরিচালক ড. নিশ্চল এন পান্ডে বলেন, বিআরআই ও বিবিআইএন বড় দুটি দেশের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হলেও ছোট দেশগুলো এখানে অনেক লাভবান হবে। সে কারণে এই দুই উদ্যোগ থেকে আমরা কিভাবে লাভবান হতে পারি সেটা নিয়েই চিন্তা করতে হবে। সম্মেলনের শেষ দিনে বিভিন্ন পবের্ বক্তব্য রাখেন নেপালের সাবেক বাণিজ্য সচিব পুরুষোত্তম ওঝা, রিজিওনাল সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের নিবার্হী পরিচালক অধ্যাপক গামিনী কিরাওয়ালা, ভারতের ফোরাম ফর স্ট্র্যাটেজিক ইনিশিয়েটিভের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) দীপঙ্কর ব্যানাজির্, বিস মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল এ কে এম আবদুর রহমান প্রমুখ।