আদাবরে সংঘষর্: যুবলীগ নেতা তুহিন গ্রেপ্তার, পরে জামিন

প্রকাশ | ১২ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
আরিফুর রহমান তুহিন
ঢাকার মোহাম্মদপুর ও আদাবরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘষের্র মধ্যে গাড়িচাপায় দুই কিশোরের মৃত্যু ঘটনায় গ্রেপ্তার স্থানীয় যুবলীগ নেতা আরিফুর রহমান তুহিনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার তাকে আদালতে হাজির করে পঁাচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কমর্কতার্। অপরদিকে তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের অনুসারী হিসেবে পরিচিত আরিফুর রহমান তুহিন গত সিটি করপোরেশন নিবার্চনে আওয়ামী লীগের সমথের্ন কাউন্সিলর পদে নিবার্চন করে আবুল হাসেম হাসুর কাছে পরাজিত হন। এদিকে শনিবারের ঘটনায় নিহত আরিফের বাবা ফারুক হোসেন রাতে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। মোহাম্মদপুর থানার ওসি জামাল উদ্দীন মীর জানান, ফৌজদারি আইনের ৩০৪ ধারায় (বেপরোয়া যান চালনায় মৃত্যু) দায়ের করা ওই মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবরে শনিবার আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘষের্র মধ্যে পিকআপের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যান। ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং ওই আসন থেকে এবার মনোনয়ন প্রত্যাশী সাদেক খানের সমথর্কদের মধ্যে শনিবার কয়েক দফা সংঘষর্ হয়। নবোদয় হাউজিং, আদাবরের ১০ ও ১৬ নম্বর সড়ক, শম্পা মাকের্ট এলাকা এবং উত্তর আদাবরের সুনিবিড় হাউজিংয়ে ওই সংঘষের্ অন্তত ২০ জন আহত হন। এর মধ্যে নবোদয় হাউজিংয়ের লোহার গেটের কাছে সংঘষের্র মধ্যে একটি পিকআপ ভ্যানের চাপায় আরিফ (১৫) ও সুজন (১৭) নামে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর সাদেক খান অভিযোগ করেন, যুবলীগ নেতা তুহিনের নেতৃত্বে তার সমথর্কদের ওপর হামলা চালানো হয়।