ব্যারিস্টার মইনুলের যথাযথ চিকিৎসা কেন নয়: হাইকোটর্

প্রকাশ | ১২ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন
সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে রংপুর কারাগার থেকে ঢাকায় এনে যথাযথ/উপযুক্ত চিকিৎসার (স্বাস্থ্য পরীক্ষার) নিদের্শ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোটর্। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের (মহাপরিদশর্ক) আইজিপি, আইজি প্রিজন কারা কতৃর্পক্ষ ঢাকা, আইজি প্রিজন কারা কতৃর্পক্ষ রংপুর, সিভিল সাজর্ন ঢাকা, সিভিল সাজর্ন রংপুর ও জেলা প্রশাসককে (ডিসি) এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার হাইকোটের্র বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারির আদেশ দেন। আদালতে আজ ব্যারিস্টার মইনুলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মাসুদ রানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটনির্ জেনারেল কাজী জিনাত হক। এর আগে গত ০৮ নভেম্বর সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আগামী রোববারের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নিদের্শ দেন হাইকোটর্। রংপুর কারা কতৃর্পক্ষ ও রংপুর মেডিকেল কতৃর্পক্ষকে এই নিদের্শ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। আদালতের নিদের্শ অনুসারে প্রতিবেদন আজ দাখিল করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন ধাযর্ করা হয়েছে। এর আগে গত ০২ নভেম্বর বিশেষায়িত হাসপাতালে ব্যারিস্টার মইনুলের চিকিৎসা ও রংপুর আদালতে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা সরকারের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোটের্ মইনুলের স্ত্রী সাজু হোসেন এ রিট দায়ের করেন। গত ৩ নভেম্বর ব্যারিস্টার মইনুলকে রংপুর কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে রংপুরে করা মানহানির এক মামলায় গত ২২ অক্টোবর ঢাকার উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রংপুরের বাসিন্দা মিলি মায়া বেগম ২২ অক্টোবর আদালতে মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। ওই দিনই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।