ইভিএম মেলা উদ্বোধন

ইভিএম থেকে পেছানোর সুযোগ নেই: সিইসি

প্রধান নিবার্চন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা বলেন, ‘প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের প্রত্যেকটা জায়গায় চলে গেছে। শুধু নিবার্চনেই এখনো পযর্ন্ত আমরা প্রযুক্তির মাপকাঠিতে পৌঁছুতে পারিনি।’

প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তজাির্তক সম্মেলন কেন্দ্রে ইভিএম প্রদশর্নীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিবার্চন কমিশনের সেমিনার প্রতিবেদন সংক্রান্ত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান নিবার্চন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা Ñফোকাস বাংলা
প্রধান নিবার্চন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, প্রযুক্তির ব্যবহার প্রত্যেকটা জায়গায় চলে গেছে। নিবার্চনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার থেকে পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তজাির্তক সম্মেলন কেন্দ্রে ইভিএম মেলার উদ্বোধনী পবের্ তিনি এ কথা বলেন। কেএম নূরুল হুদা বলেন, ‘প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের প্রত্যেকটা জায়গায় চলে গেছে। শুধুমাত্র নিবার্চনেই এখনো পযর্ন্ত আমরা প্রযুক্তির মাপকাঠিতে পৌঁছুতে পারিনি। এটাকে আমাদের অবশ্যই অ্যাড্রেস করতে হবে এবং এখান থেকে আমাদের অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে। একসময় না একসময় শুরুটা করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘ইভিএম এখনই আমাদের শুরু করতে হবে। ভুল হলে আমাদের প্রশ্ন থাকবে, সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে। আবার এগিয়ে যেতে হবে। আবার ভুল হবে, আবার সামনে যাবো। প্রযুক্তি এক জায়গায় থেমে থাকে না। প্রতিনিয়ত পরিবতর্ন হয়। সেই পরিবতের্নর ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে ইভিএমকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে ভোটের অধিকার দেওয়ার চেষ্টা করব। মানুষ ভোট দিতে চায়, নিবার্চন কমিশন ভোটারদের জিম্মাদার। নিবার্চন কমিশনের ওপর ভোটারদের ভোট প্রয়োগের মেকানিজম পরিচালনা নিভর্র করে।’ কেএম নূরুল হুদা বলেন, ‘আমরা যে ইভিএম প্রদশর্ন করেছি, সেটি সিটি করপোরেশন নিবার্চনে যেখানে ইভিএম ব্যবহার করেছি। কোনো ভোটার কোনো আপত্তি করেনি। তারা খুশি ছিলেন। আমাদের ভোটাররা যদি খুশি থাকে, আমরাও খুশি। ভোটাররা যদি নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারেন। আমরা নিশ্চিন্ত।’ রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সিইসি আরো বলেন, ‘আপনারা আসুন, আপনাদের মধ্যে যদি কোনো প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি থাকে নিয়ে আসুন। পরীক্ষা করুন, এই আহ্বান করছি। আমাদের যদি কোনো ভুল-ভ্রান্তি থাকে তা শুধরে দিন। তবে এটা থেকে পিছিয়ে যাওয়ার আমাদের আর সুযোগ নেই। এটাকে নিয়ে আমাদের সামনে এগুতে হবে। এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করি এবং আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।’ তিনি বলেন, সংসদ নিবার্চনে সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। ইভিএমে ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে সব ধরনের নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা বজায় থাববে। অনুষ্ঠানে নিবার্চন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পুনঃতফসিল অনুযায়ী সংসদ নিবার্চন ২৩ ডিসেম্বরের পর ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। আর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৯ নভেম্বর থেকে পিছিয়ে ২৮ নভেম্বর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের পর বিধিমালা চ‚ড়ান্ত করে নিবার্চন কমিশন (ইসি)। এতে এই ভোটযন্ত্র ব্যবহারে সবরকম আইনিভিত্তি নিশ্চিত হয়। এবারই প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নিবার্চনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছে নিবার্চন কমিশন। ২০১০ সালের জুন মাসে দেশে প্রথমবারের মতো সীমিত পরিসরে চট্টগ্রাম সিটি নিবার্চনে ইভিএম চালু হয়। ২০১৫ সালের এসে ওই ইভিএম বন্ধ হয়ে যায়। পরবতীের্ত ডিজিটালাইজড সুবিধা-সংবলিত নতুন ইভিএম তৈরি করে ইসি। ২০১৬ সালে রংপুর সিটি নিবার্চনে তা চালু হয়। এর দুই বছরের মাথায় সংসদে নতুন প্রযুক্তিটি চালু হচ্ছে। জাতীয় সংসদ নিবার্চন ইভিএম বিধিমালা ২০১৮-এ রিটানির্ং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, ভোট গণনা, ফল একীকরণসহ নানা বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।