সংবিধান অনুসারেই সব কিছু এগোচ্ছে: তোফায়েল

প্রকাশ | ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
মঙ্গলবার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল বেøকেননের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ Ñযাযাদি
একাদশ সংসদ নিবার্চনকে সামনে রেখে নিবার্চনকালীন মন্ত্রিসভা এবং চারজন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে কিছুটা অস্পষ্টতা থাকলেও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলছেন, সব কিছু ‘সংবিধান অনুসারেই’ হচ্ছে। তিনি বলেছেন, নিবার্চনকালীন সরকারই এখন দায়িত্বে আছে। এ সরকারে কোনো টেকনোক্র্যান্ট মন্ত্রী থাকবেন না। যে চারজন টেকনোক্র্যান্ট মন্ত্রী ছিলেন, তাদের পদত্যাগপত্র ‘যেকোনো সময়’ গৃহীত হবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল বেøকেননের সঙ্গে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ বিষয়ে কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। নিবার্চনে সব দলের অংশগ্রহণের ঘোষণাকে ‘শুভ লক্ষণ’ হিসেবে বণর্না করে আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল বলেন, বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও নিরপেক্ষ নিবার্চন হতে চলেছে বলে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে। ‘বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিবার্চন কমিশন নিবার্চনের তারিখ ৭ দিন পিছিয়েছে। সব কিছুই ঠিকঠাক মতোই চলছে।” নিবার্চনকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে এক প্রশ্নে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা তো এখন নিবার্চনকালীন সরকারের দায়িত্বই পালন করছি, আমাদের এখন রুটিন ওয়াকর্, ফাইল সই করব দৈনন্দিন কাজের, নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি না। পদত্যাগপত্র জমা দেয়া চারজন এখনও মন্ত্রী আছেন কিনা- সেই প্রশ্নে তোফায়েল বলেন, “এটা গ্রহণ করতে হয়। আর পদত্যাগপত্র জমা দিতে হয় প্রধানমন্ত্রীকে, উনি যখন গ্রহণ করবেন, এরপরে যা হয় এটার প্রসেস আছে, তারা জমা দিয়েছেন, যেকোনো সময় এটা কাযর্কর হবে।” নিবার্চনকলীন সরকারে টেকনোক্র্যাট কোনো মন্ত্রী থাকবেন না জানিয়ে তোফায়েল বলেন, “আমার বিবেচনায় সংবিধান অনুসারেই সব কিছু এগোচ্ছে, এখানে কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।” নিবার্চনের আগে দেশে এখন ‘সুন্দর’ পরিবেশ বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেন ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা। তিনি বলেন, “আমরা আশা করি নিবার্চান পযর্ন্ত এই পরিবেশটা বিরাজ করবে এবং অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নিবার্চনের মধ্য দিয়ে যারা বিজয়ী হবেন, তারা সরকার গঠন করবে।” আদালতের রায়ে সাজা হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একাদশ সংসদ নিবার্চনে অংশ নিতে পারবেন না বলেই মনে করেন তোফায়েল। তিনি বলেন, “আমার যতটুকু সংবিধান সম্পকের্ ধারণা আছে, কারো যদি দুই বছরের বেশি সাজা হয়, তারপর যদি সে মুক্তও হয়, তার পঁাচ বছরের মধ্যে সে নিবার্চন করতে পারে না, যতক্ষণ সে সাজাটা হাইকোটর্, সুপ্রিম কোটর্ বাতিল না করে। সুতরাং সাজাপ্রাপ্ত কেউ নিবার্চন করতে পারবে বলে সংবিধানে নেই।”