রাজনৈতিক দলে ৩৩ শতাংশ নারী পদ নিশ্চিতের আহŸান

প্রকাশ | ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
গুলশানের লেকশোর হোটেলে মঙ্গলবার ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথিরা Ñযাযাদি
বতর্মানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে ২/৪ শতাংশ নারী নেত্রী রয়েছে। নারীদের এই অংশগ্রহণ বাড়িয়ে ৩৩ শতাংশ করার জোরালো দাবি জানিয়েছে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি সংগঠন। তাদের মতে, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদীয় নিবার্চনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ও নিবার্চনী প্রক্রিয়ায় লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করার জন্য অধিক সংখ্যক নারী প্রাথীের্ক মনোনয়ন দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আরো পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া নিবার্চনী আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সব কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মঙ্গলবার গুলশানের লেকশোর হোটেলে জাতীয় সংসদ নিবার্চনে নারী প্রাথীের্দর মনোনয়ন বৃদ্ধি শীষর্ক আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবি জানান। সভায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পাটির্সহ প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নেত্রীরা অংশ নেন। বক্তারা বলেন, অথৈর্নতিক নিভর্রতা নারীর রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বকে সীমাবদ্ধ করার অন্যতম মূল কারণ। তাছাড়াও পারিবারিক দ্বিগুণ দায়িত্ব নারীর অথোর্পাজর্ন করার ক্ষমতা হ্রাস করে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশের পরিপ্রেক্ষিতে। নারীরা অথের্র ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ভোগেন, যা নিবার্চনে জয়ী হওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূণর্। এ সময় জাতীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নারীরা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয় সেগুলো তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো- রাজনৈতিক ক্ষেত্র ঘিরে পিতৃতান্ত্রিক কাঠামো ও রক্ষণশীল মনোভাব। দলের সমথের্নর অভাব, নারী প্রাথীের্দর জন্য সীমিত সামাজিক ও আথির্ক সহায়তা, সীমিত রাজনৈতিক নেটওয়াকর্ প্রভৃতি। বাংলাদেশের সংসদীয় নিবার্চনে নারী প্রাথীের্দর বতর্মান অবস্থা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের নারীদের জন্য আইনি কিংবা স্বেচ্ছা প্রাথীর্ হওয়ার কোনো ধরনের কোটা নেই। সবশেষ ২০১৪ সালে ৫.৩ শতাংশ নারী প্রাথীর্রা নিবার্চনে অংশ নেয়। যেখানে ১৯টি সংসদীয় আসনে মধ্যে ১৮ জন নারী নিবাির্চত হয়ে সংসদে আসেন। নিবার্চনে নারী প্রাথীর্ সংখ্যা বাড়ানোর উপায় সম্পকের্ তারা বলেন, এক্ষেত্রে দুটি প্রধান উপায় রয়েছে। আইনি প্রাথীর্ কোটা ও স্বেচ্ছা প্রাথীর্ কোটা। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পাটির্ কেটি ক্রোকের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, জাতীয় নিবার্হী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন, আওয়ামী লীগের আন্তজাির্তক সম্পকর্ বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, উপ-কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সদস্য আমেনা কোহিনূর, জাতীয় পাটির্র প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র ডিরেক্টর অব ইলেকশন প্রোগ্রাম আব্দুল আলিমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেত্রীরা।