ডেসটিনি চেয়ারম্যানের ৩ বছরের কারাদÐ

প্রকাশ | ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
মোহাম্মাদ হোসেন
সম্পদের হিসাব জমা না দেয়ার মামলায় ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ হোসেনকে তিন বছরের কারাদÐ দিয়েছে আদালত। বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক শেখ গোলাম মাহবুব এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় হোসেনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে দুদকের কৌঁসুলি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, সম্পদের হিসাব না দেয়ায় ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া আদালত তাকে এই সাজা দেন। তিন বছরের কারাদÐের পাশাপাশি হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই অথর্ না দিলে তাকে আরও তিন মাস কারাভোগ করতে হবে। নিম্ন আদালতে দুনীির্ত দমন কমিশনের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন বলেন, “রায় পাওয়ার পর দÐিতকে স্বাভাবিক দেখা যায়। তার কোনো বিকার বা প্রতিক্রিয়া ছিল না।” এর আগে গত ৩ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে আত্মপক্ষের সমথের্ন লিখিত বক্তব্য ডেসটিনি গ্রæপের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ হোসেন বলেন, ‘মিথ্যা কাগজপত্র ও সাক্ষ্য সৃজন করে করেছেন মামলা তদন্তকারী কমর্কতার্। তিনি বেআইনিভাবে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন এবং পরবতীের্ত আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন। আমি নিদোর্ষ এবং খালাস চাই। এই আমার বক্তব্য।’ মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, সম্পদের হিসাব জমা দেওার জন্য মোহাম্মদ হোসেনকে ২০১৬ সালের ১৬ জুন নোটিশ দেয় দুদক। তখন হোসেন অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। আইনজীবীর মাধ্যমে দুদকের নোটিশ গ্রহণ করলেও সম্পদের হিসাব জমা দেননি। ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক সালাউদ্দিন বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা করেন। পরের বছর ২০১৭ সালের ৬ জুন মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। আদালত এই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে গত বছরের ১৫ অক্টোবর হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলায় ৫ জনের সাক্ষীর জবানবন্দি রেকডর্ করেন।