চট্টগ্রামে আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে মাঠে ২৭ ম্যাজিস্ট্রেট

প্রকাশ | ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে নিবার্চনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে চট্টগ্রামে মাঠে নামছেন ২৭ জন নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট। ১৬টি সংসদীয় আসনে এসব নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট নিবার্চনী আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়টি দেখাশোনা করবেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পুরো চট্টগ্রামকে নগর ও জেলা- দুইভাগে ভাগ করে ২৭ জন নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জন নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট নগরে এবং ১৪ জন নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন উপজেলায় ৩১ ডিসেম্বর পযর্ন্ত নিবার্চনী দায়িত্ব পালন করবেন। নগরে দায়িত্বপ্রাপ্ত নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেটরা হলেন- ফারহানা জাহান উপমা, ফোরকান এলাহি অনুপম, তাহমিলুর রহমান, সাবরিনা আফরিন মুস্তফা, এস এম শান্তুনু চৌধুরী, শারমিন আখতার, মাহফুজা জেরিন, রমিজ আলম, মারুফা বেগম নেলী, শান্তা রহমান, উজালা রানী চাকমা, তাহমিনা আক্তার এবং মাসুদ রানা। অন্যদিকে জেলায় দায়িত্ব পালন করবেন- রাউজানে জোনায়েদ কবীর সোহাগ, মীরসরাইয়ে মো. কায়সার খসরু, পটিয়ায় সাব্বির রাহমান সানি, ফটিকছড়িতে মো. জানে আলম, আনোয়ারায় সাইদুজ্জামান চৌধুরী, বোয়ালখালীতে একরামুল ছিদ্দিক, রাঙ্গুনিয়ায় পূবির্তা চাকমা, চন্দনাইশে নিজাম উদ্দিন আহমেদ, লোহাগাড়ায় পদ্মাসন সিংহ, হাটহাজারীতে সম্রাট খীসা, বঁাশখালীতে সুজন চন্দ্র রায়, সাতকানিয়ায় রঞ্জন চন্দ্র দে, কণর্ফুলীতে আশরাফুল আলম এবং সন্দ্বীপে জিল্লুর রহমান। বিষয়টি নিশ্চিত করে রিটানির্ং অফিসার ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, সংসদ নিবার্চনের সময়ে নিবার্চনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে চট্টগ্রামে ২৭ জন নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এসব ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নিবার্চনী আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের সাজা দেবেন। তিনি জানান, কোনো ব্যক্তি নিবার্চনী আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করলে তাকে সবোর্চ্চ ৬ মাসের সাজা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দÐে দÐিত করার বিধান রয়েছে। রাজনৈতিক দল লঙ্ঘন করলে তাদেরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে। এর আগে সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জাতীয় সংসদ নিবার্চনের ৩০০ আসনে নিবার্চনী আচরণবিধি প্রতিপালন করার জন্য নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়ার নিদের্শনা দেয় নিবার্চন কমিশন। নিবার্চন কমিশনের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহম্মদ খানের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়, মোবাইল কোটর্ আইন-২০০৯ এর আওতায় নিবার্চনের আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য প্রত্যেক নিবার্চনী এলাকায় নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার জন্য নিবার্চন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ৩০০টি নিবার্চনী এলাকায় ভোটগ্রহণের পরের দিন পযর্ন্ত নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন। নিবার্চন কমিশন থেকে এ নিদের্শনা আসার পর চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের এ সিদ্ধান্ত এলো।