ইসিকে সহযোগিতা করতে মাঠ প্রশাসনকে নিদের্শ

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নিদের্শ ‘প্রেষণে চাকরিরতরা নিবার্চন সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনে নিবার্চন কমিশন কিংবা রিটানির্ং কমর্কতার্র নিয়ন্ত্রণে থাকবেন এবং তাদের যাবতীয় আইনানুগ আদেশ বা নিদের্শ পালনে বাধ্য থাকবেন।’

প্রকাশ | ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
একাদশ সংসদ নিবার্চন অবাধ, ?সুষ্ঠু, শান্তিপূণর্ ও নিরপেক্ষভাবে করার লক্ষ্যে নিবার্চন কমিশনকে সহযোগিতা করতে মাঠ প্রশাসনের কমর্কতার্-কমর্চারীদের নিদের্শনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। নিবার্চন কমিশনের আধা-সরকারি পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ‘নিবার্চন কমর্কতার্ (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১’-এর অনুসরণীয় বিধানগুলো উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই নিদের্শনা দেয়া হয়। তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নিবার্চনের ফলাফল ঘোষণার পর ১৫ দিন পার না হওয়া পযর্ন্ত নিবার্চন কমিশনের সঙ্গে পরামশর্ না করে নিবার্চনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কমর্কতাের্ক যেন বদলি না হয়, সে বিষয়েও মন্ত্রিপরিষদের নিদের্শনা এসেছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নিবার্চনে ভোটগ্রহণের দিন ঠিক করেছে নিবার্চন কমিশন। আদেশে বলা হয়েছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন যাতে অবাধ, ?সুষ্ঠু, শান্তিপূণর্ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে অপির্ত দায়িত্ব পালন সংশ্লিষ্ট সবার কতর্ব্য। নিবার্চন কমিশনের অনুরোধে সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়োজনীয় কাযর্ক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কমর্কতার্-কমর্চারীদের মধ্য থেকে ভোটগ্রহণ কমর্কতার্ নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে বলা হয়, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি দপ্তর, প্রতিষ্ঠানের কমর্কতার্-কমর্চারীরা অতীতের মতো নিবার্চন কমিশনকে সবার্ত্মক সহযোগিতা করবেন বলে সরকার আশা করে।’ ‘নিবার্চনের দায়িত্বে নিয়োজিত কমর্কতাের্দর শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণের বিধান সংবলিত নিবার্চন কমর্কতার্ (বিশেষ বিধান) আইন ১৯৯১ অনুসারে নিবার্চনের দায়িত্বপ্রাপ্ত যে কোনো কমর্কতার্-কমর্চারী উক্তরূপে নিয়োগের তারিখ থেকে নিবার্চনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি না পাওয়া পযর্ন্ত তার নিজ চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নিবার্চন কমিশনের অধীনে প্রেষণে চাকরিরত বলে গণ্য হবেন। ‘প্রেষণে চাকরিরতরা নিবার্চন সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনে নিবার্চন কমিশন কিংবা রিটানির্ং কমর্কতার্র নিয়ন্ত্রণে থাকবেন এবং তাদের যাবতীয় আইনানুগ আদেশ বা নিদের্শ পালনে বাধ্য থাকবেন।’ আদেশে বলা হয়, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুসারে নিবার্চনের তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নিবার্চনের ফলাফল ঘোষণার পর ১৫ দিন সময় অতিক্রান্ত না হওয়া পযর্ন্ত নিবার্চন কমিশনের সঙ্গে পরামশর্ ছাড়া নিবার্চনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কমর্কতাের্ক অন্যত্র বদলি করা যাবে না।’ ‘সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোকে নিবার্চনের কাজ শেষ না হওয়া পযর্ন্ত নিবার্চনের কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কমর্কতার্-কমর্চারীদের ছুটি প্রদান এবং অন্যত্র বদলি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।’ সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদশর্ক; বিজিবি, কোস্ট গাডর্, আনসার ও ভিডিপি এবং র‌্যাবের মহাপরিচালক; সব বিভাগীয় কমিশনার; মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; সব পুলিশ কমিশনার, উপ-মহাপুলিশ পরিদশর্ক, জেলা প্রশাসক ও রিটানির্ং কমর্কতার্, সব পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নিবার্চন অফিসার, জেলা নিবার্চন অফিসার, আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ডেন্ট, উপজেলা নিবার্হী কমর্কতার্, সহকারী রিটানির্ং কমর্কতার্ এবং উপজেলা/থানা নিবার্চন কমর্কতাের্দর আদেশের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।