মেলায় করদাতাদের আগ্রহের কমতি নেই

প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
কর মেলায় করদাতাদের উপচেপড়া ভিড় Ñযাযাদি
আয়কর মেলায় ছয়দিনেও করদাতাদের আগ্রহের কমতি নেই। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই যেন করদাতাদের উপস্থিতি বাড়ছে। রোববার সপ্তাহের প্রথম কাযির্দবসে গিয়ে এই দৃশ্য দেখা যায়। মেলা শুরুর প্রথম ঘণ্টায় লোকজনের ভিড় একটু কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে শুরু করে করদাতা ও সেবা গ্রহণকারীদের উপস্থিতি। ফলে সকাল সাড়ে ১০টার দিক থেকে লাইন ধরে মেলায় ঢুকতে হয় করদাতাদের। ঢোকার লাইনের পাশাপাশি প্রতিটি বুথে করদাতাদের অপেক্ষা করতে হয়। সেখানেও লাইন ধরতে হয়। রাজধানীর মেরুল বাড্ডা থেকে আসা স্কুল শিক্ষক আবদুল আওয়াল বলেন, সরকারি নিদের্শনা রয়েছে রিটানর্ দাখিলের জন্য। তা না হলে তাদের বেতন বন্ধ থাকবে। তাই রিটানর্ দিতে এসেছেন। তিনি বলেন, মেলায় কর দিতে এসে অনেক মানুষকে দেখতে পান, উৎসব উৎসব পরিবেশ থাকে, ভুল হলেও দ্রæত সংশোধন করা যায়, তাই মেলায় রিটানর্ দাখিল করতে এসেছেন। প্রায় একই কথা বলেন একটি বেসরকারি বিমা কোম্পানির কতর্কতার্ রিংকু ভৌমিক। তিনি বলেন, সকালে অফিসে গিয়ে প্রাথমিক কাজ শেষ করেছেন, বসকে বলে রিটানর্ দিতে মেলায় এসেছেন। এখানে রিটানর্ দিলে ঝামেলা কম। পাশাপাশি একটি উপহারও পাওয়া যায়। তাই মেলায় এসেছেন। এর আওতা বাড়াতে সাধারণ মানুষকে কর সম্পকের্ সচেতন করতে রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসাসর্ ক্লাবসহ সারাদেশে জাতীয় রাজস্ব বোডর্ (এনবিআর) সপ্তাহব্যাপী কর মেলার আয়োজন করেছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পযর্ন্ত চলা এই মেলায় আয়কর রিটানর্ দাখিল, ই-টিআইন সেবা গ্রহণের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা, নারী, প্রতিবন্ধী ও প্রবীণ করদাতাদের জন্য আলাদা বুথসহ ১১ ধরনের সুবিধা রাখা হয়েছে। এসব কারণে মেলায় করদাতাদের ব্যাপক সাড়া পড়েছে বলে দাবি করেছেন মেলার সমন্বয়ক ও এনবিআরের সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জিয়াউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, অনলাইনে রিটানর্ দেয়া, ফটোকপিসহ সব ধরনের ব্যবস্থা ছাড়াও এবারের মেলায় বাড়তি আকষর্ণ ছিল শিক্ষাথীের্দর নিয়ে কর শিক্ষণ ফোরাম। নতুন প্রজন্মের করদাতাদের আয়কর সম্পকের্ সচেতন করতে সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও এবারের মেলায় বিশেষ আকষর্ণ ছিল অডিও ভিজ্যুয়াল পদ্ধতিতে কর শিক্ষণ কাযর্ক্রম। এসবের ফলে ২০১৮ সালের আয়কর মেলা অতীতের সব রেকডর্ ভঙ্গ করেছে। করদাতা ও কর সেবা গ্রহণকারীরা নতুন রেকডর্ তৈরি করেছে। এনবিআর সূত্র মতে, মেলার প্রথম পঁাচদিনে ১১ লাখেরও বেশি মানুষ সেবা নিয়েছে। এর মধ্যে তিন লাখ ৪২ হাজার ৮৩৩ জন রিটানর্ দাখিলের মাধ্যমে এক হাজার ৫৫৮ কোটি টাকার কর আদায় করা হয়েছে। এর আগের রেকডর্ ছিল এক হাজার ৪৭৩ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৩২ টাকার কর আদায়। ২০১০ সাল থেকে শুরু হওয়া আয়কর মেলার পরিধি এবং মেলার মাধ্যমে আয়কর বিভাগের সেবার পরিসর বাড়ছে। এই ধারাবাহিকতায় ‘উন্নয়ন ও উত্তরণ, আয়করের অজর্ন’-¯েøাগানকে সামনে রেখে এবারের মেলার প্রতিপাদ্য নিধার্রণ করা হয়েছে ‘আয়কর প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিক ন্যায় বিচার ও ধারাবাহিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ’।