ছেলে-মেয়ে শিশুরা বন্দি হয়ে যৌন দাসত্বের শিকার

প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
‘আমরা ধারণা করে থাকি যে কেবলমাত্র দরিদ্র পরিবারের শিশুরাই পাচারের শিকার হয়। কেউ কেউ আবার ভাবেন যে, কেবলমাত্র মেয়ে শিশুরাই পাচারের শিকার হয়। তবে এ ধারণাগুলো ভুল, বরং গবেষণায় দেখা গেছে, ছেলে শিশুরা মেয়ে শিশুদের মতোই অপরাধীদের হাতে বন্দি হয়ে যৌন দাসত্ব বা পতিতাবৃত্তির শিকার হয়ে থাকে।’ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিশু পাচার প্রতিরোধে কমিউনিটি ও নেটওয়াকির্ং শক্তিশালীকরণে প্রিভেনশন অব চাইল্ড ট্রাফিকিং থ্রো স্ট্রেন্থেনিং কমিউনিটি অ্যান্ড নেটওয়াকির্ং (পিসিটিএসসিএন) এবং অ্যাসটেক বাংলাদেশের আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। মানববন্ধনে ইনসিডেন্স বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম খান, পিসিটিএসসিএলের প্রজেক্ট কো-অডিের্নটর শারিফুল্লাহ রিয়াজ এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পক্ষে মো. জাহিদ হাসানসহ বিশিষ্টজনরা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অথর্-সামাজিক উন্নয়ন ও জাতীয় আন্তজাির্তক পরিসরে সমীহ করার মতো অগ্রগতি ও সাফল্য অজির্ত হলেও অনেক চ্যালেঞ্জ এবং প্রতিবন্ধকতা এখনো মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এর মধ্যে শিশু ও মানবপাচারের বিস্তৃতি অন্যতম। বক্তারা বলেন, শিশুরা বিভিন্ন ধরনের জোরপূবর্ক শ্রম ও বাধ্যতামূলক ও শোষণমূলক শ্রমের উদ্দেশে পাচারের শিকার হয়ে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সঠিক পরিবেশ ও স্নেহ দেয়ার কথা বলে শিশুদের নিয়োগ করে তাদের কোনো ধরনের শিক্ষা ও স্নেহ না দিয়ে, অত্যাচার ও দীঘর্ সময় বিনা বা স্বল্প মজুরিতে কাজ করানো, ছুটি বা ঘরে ফেরার দাবি উপেক্ষা করা, আগাম শ্রম কিনে নিয়ে ইটের ভাটা বা শুঁটকি তৈরির কাজে শিশুদের নিয়োগ, জোরপূবর্ক ভিক্ষাবৃত্তি, ছেলে-মেয়ে উভয়েরই অঙ্গ পাচার, যৌন শোষণ ইত্যাদি এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, আমাদের দেশে শিশু পাচার আইন আছে, মানবপাচার দমন ও প্রতিরোধ আইনে শাস্তি ও সুরক্ষার বিধান আছে। এছাড়া মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে। আমাদের সেসব বিষয়ে জানা জরুরি। শিশু পাচার বন্ধে করণীয় উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ‘প্রথমে আমাদের জানতে হবে শিশু পাচার কি ও তা প্রতিরোধ বা প্রতিকারে আমরা কি করতে পারি। এরপর আমাদের সহকমীর্, পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব ও শিশুসহ সবাইকে বিষয়টি জানাতে হবে। আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা পালন করতে হবে। এরমধ্যে কোনো শিশুকে পাচারের জন্য ঝুঁকিপূণর্ মনে হলে তার সুরক্ষার উদ্যোগ, উদ্ধারকৃত শিশুর আইনগত সহায়তা, আশ্রয় এবং পারিবারিক বা সামাজিক প্রতিষ্ঠা সহায়তার ব্যবস্থা করা আমাদেরই দায়িত্ব।’