বদলে যাবে বনানী পাকর্

প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
নকশায় বনানী পাকর্ Ñযাযাদি
বনানী ১৮ নম্বর সড়কে অবস্থিত বনানী ক্লাব মাঠটি আধুনিকায়ন ও সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। পাকির্টর কাজ শেষ হলে জায়গাটি হবে খোলামেলা, সবুজ আর ছায়াঘেরা। এখানে খেলবে শিশুরা, নারীরা হঁাটবে, গল্প করবে। নারী ও শিশুদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিমির্ত পাকির্টতে থাকবে শিশুদের বিনোদনের ব্যবস্থাসহ নানা আয়োজন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কমর্কতার্রা জানান, পাকির্টর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হবে, এটা দুযোর্গ পরিস্থিতিতে নগরবাসীর জন্য আশ্রয়স্থল হবে। সব কিছু মিলেয়ে পাকির্ট আধুনিকায়নের মাধ্যমে এবং নারী ও শিশুদের প্রাধান্য দিয়ে বদলে যাচ্ছে বানানীর পাকির্ট। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ২২টি পাকর্ ও আটটি খেলার মাঠ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে ডিএনসিসির পরিবেশ, জলবায়ু পরিবতর্ন ও দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা বিভাগ। এই ২২টি পাকর্ ও আটটি খেলার মাঠের মধ্যে রয়েছে বনানী ক্লাব মাঠ। এই মাঠের আয়তন ১ দশমিক ২১ একর। পাকির্ট সংস্কার ও উন্নয়নে অথার্ৎ আধুনিকায়নে এর ব্যয় ধরা হয়েছে সাত কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আগামী বছরের ৩১ মাচের্র মধ্যে এই কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। জানা গেছে, বনানী মাঠটি একসময় ঢাকা ইম্প্রভমেন্ট ট্রাস্টের মালিকানায় ছিল। এরপর সিটি করপোরেশনের মালিকানায় আসে। সম্প্রতি বনানী সোসাইটিকে সঙ্গে নিয়ে ডিএনসিসি বনানীর মাঠ ও পাকর্ উন্নয়নের কাজ করছে। সেখানে বসতে যাচ্ছে শিশুদের বিনোদনের বিভিন্ন উপকরণ, ওয়াকওয়ে, সাইকেল লেন। থাকবে নারীদের জন্য বিশেষ বসার স্থান, গণশৌচাগার। ডিএনসিসি সূত্র জানায়, এলাকাবাসী নিজেরা অংশ নিয়ে পাকের্র অভ্যন্তরে কী কী সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার, তা নিয়ে মত দিয়েছেন। পাকের্র নকশা করার সময় তাদের মত ও পরিকল্পনা অন্তভুর্ক্ত করা হয়েছে। এসব পাকের্ বড় কোনো স্থাপনা তৈরি করা হবে না। যেখানে কেবল পাকর্ আছে, সেখানে খেলার মাঠও রাখা হবে। আবার যেখানে মাঠ আছে সেখানে পাকের্র সুবিধা থাকবে। ক্লোজড সাকির্ট (সিসি) ক্যামেরার মাধ্যমে পযের্বক্ষণের সুবিধা থাকবে। পুরো পাকির্ট নতুন করে সাজানো হবে জানিয়ে ডিএনসিসির পরিবেশ, জলবায়ু পরিবতর্ন ও দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা সাকেের্লর তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী তারিক বিন ইউসুফ বলেন, বনানীর এই পাকির্টতে আমরা মূলত নারী ও শিশুদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিমার্ণ করছি। পাকির্ট হবে খোলামেলা, সবুজ আর ছায়াঘেরা। এখানে শিশুদের বিনোদনের বিভিন্ন উপকরণ, ওয়াকওয়ে ও সাইকেল লেন তৈরি করা হবে। নারীদের জন্য হঁাটার ব্যবস্থা, বসার স্থান, গণশৌচাগারসহ থাকবে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে।