পোশাক খাতের মালিক শ্রমিকদের কঠোর বাতার্

প্রকাশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন সামনে রেখে ‘একটি মহল’ পোশাক খাতের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে অসন্তোষ সৃষ্টির পঁায়তারা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেছেন, এ ধরনের যে কোনো চেষ্টা সরকার ‘অত্যন্ত শক্তভাবে’ দমন করবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কোর কমিটির জরুরি সভার পর প্রতিমন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারি আসে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ইদানীং লক্ষ্য করছি, যারা নিবার্চন চান না, তারা বিভিন্নভাবে নিবার্চন ব্যাহত করার চেষ্টা করছেন। আমাদের মনে হচ্ছে সবচেয়ে বড় গামের্ন্টস সেক্টরে অসেন্তোষ সৃষ্টি করার জন্য কিছু কিছু মহল চেষ্টা করছে। বিভিন্ন বাহানা করে অসন্তোষ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন, এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নতুন মজুরি।’ দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা নিধার্রণ করে গত ২৫ নভেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সরকার। তাতে পোশাক খাতের প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিকের মজুরি আগের চেয়ে গড়ে ৫১ শতাংশ বাড়লেও ‘বিভিন্ন রকম’ ব্যাখ্যা দিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বেতন বৃদ্ধির হিসাব আমরা বিজিএমইএ, বিকেএমইএ-এর মালিক ও শ্রমিক নেতাদের কাছে পৌঁছে দেব, যাতে কোনো রকমের বিভ্রান্তি না হয়। শ্রমিকরা ডিসেম্বরের বেতন নতুন স্কেল অনুযায়ী পাবেন।’ মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি ও অনান্য খাতের শ্রমিকদের মজুরির বিবেচনায় পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা করার দাবি ছিল বিভিন্ন বাম শ্রমিক সংগঠনের। সেই দাবি পূরণ না হওয়ায় বিক্ষোভ, মানববন্ধনের মতো কমর্সূচি পালন করে আসছিল সংগঠনগুলো। শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মালিক ও শ্রমিকদের বলব- ডিসেম্বর মাসের ইলেকশন ব্যাহত হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত যেন তারা না করেন। যদি করেন তবে সরকারের পক্ষ থেকে জিরো টলারেন্স, আমরা প্রশাসনিকভাবে অত্যন্ত শক্তভাবে অ্যাকশন নেব।’ বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ডিসেম্বর মাসের বেতনের সঙ্গে শ্রমিকরা বধির্ত হারে বেতন পাবেন। বেতন নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি নেই। প্রধানমন্ত্রী সবির্নম্ন বেতন আট হাজার টাকা নিধার্রণ করে দিয়েছেন, আমরা সেটা মেনে নিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘ইদানীংকালে দেখা গেছে, গাজীপুরের কিছু ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা কাজ করেনি, তাদের অভিযোগ বেতন কম বাড়ানো হয়েছে। আমাদের শ্রমিক ভাইদের যেন এভাবে বিভ্রান্ত হতে না হয়। তারা ২০১৩ সালের মত হিসাব অনুযায়ী বধির্ত বেতন পাবেন।’