বিজিবির জন্য পাবর্ত্য এলাকায় ‘উত্তরণ পদক’

বডার্র গাডর্ অব বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সদস্যদের যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি হিসেবে ‘উত্তরণ পদক’ নামে একটি অপারেশন পদক প্রবতর্ন করেছে সরকার। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সীমান্ত-১ শাখা থেকে এ পদক প্রবতর্ন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পাবর্ত্য জেলাগুলোতে স্থায়ী শান্তি স্থাপনে ১৯৯৭ সালের ১ ডিসেম্বর সম্পাদিত শান্তিচুক্তির সফল বাস্তবায়নের জন্য এবং পাবর্ত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তা বাহিনীর কাযর্ক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে চলমান ‘অপারেশন দাবানল’ এর নাম পরিবতর্ন করে ‘অপারেশন উত্তরণ’ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ২০০১ সালের ১ আগস্ট থেকে এ নাম পরিবতর্ন করা হয়। এ অপারেশনে বিজিবি সদস্যদের যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি হিসেবে ‘উত্তরণ পদক’ নামে এ অপারেশন পদক প্রবতর্ন করা হলো। পদক প্রাপ্তির যোগ্যতায় বলা হয়েছে, উত্তরণ পদক পাবর্ত্য জেলাগুলোতে ‘অপারেশন উত্তরণ’ এর আওতাধীন এলাকায় চাকরিরত বিজিবি কমর্কতার্, জুনিয়র কমর্কতার্, পদবিধারী ও তালিকাভুক্ত বডার্রগাডর্ সদস্য (অযোদ্ধা ছাড়া) যারা নিরবচ্ছিন্নভাবে কমপক্ষে ২১ দিন কতের্ব্য নিয়োজিত থাকবেন। এ ছাড়া পোশাকধারী বিজিবি সদস্য যারা ‘অপারেশন উত্তরণ’ এর সাথে সম্পৃক্ত অভিযানিক গোয়েন্দা প্রশাসনিক তত্ত¡াবধান সরবরাহ ও সেবামূলক কাজে কমপক্ষে ২১ দিন নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজে নিয়োজিত থাকবেন। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, ‘উত্তরণ পদক’ সাদা ধাতু দিয়ে তৈরি হবে। এর সামনের দিকে বৃত্তের মধ্যভাগে পাহাড়ের চূড়ায় উদীয়মান সূযের্র প্রতীক, উপরে বাংলাদেশ এবং নিচে উত্তরণ পদক, পিছনের দিকের মাঝখানে জাতীয় পতাকা এবং ওপরে উত্তরণ পদক উৎকীণর্ থাকবে। এর ব্যাস হবে ৩৬ মিলিমিটার। এর রিবনের প্রস্থ ৩৩ মিলিমিটার। রিবনের মধ্যভাগে ১১ মিলিমিটার প্রস্থের লাল রং হবে। এর বাম পাশে ১১ মিলিমিটার গাঢ় সবুজ এবং ডান পাশে ১১ মিলিমিটার সাদা রং হবে।