উপবৃত্তি পেলেন স্নাতকের ২ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষাথীর্

প্রকাশ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
স্নাতক (পাস) ও সমমান পযাের্য়র ২ লাখ ৭৯ হাজার ২৭২ জন শিক্ষাথীর্ উপবৃত্তি পেলেন। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় প্রত্যেক শিক্ষাথীর্ ৪ হাজার ৯০০ টাকা করে পেয়েছেন। রোববার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজধানীর বিভিন্ন কলেজের ১২ জন স্নাতক (পাস) ও সমমান পযাের্য়র শিক্ষাথীের্দর হাতে টাকা তুলে দেয়ার মাধ্যমে উপবৃত্তি বিতরণ কাযর্ক্রম উদ্বোধন করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং ‘রকেট’ এর মাধ্যমে সব শিক্ষাথীর্র কাছে রোববারের মধ্যে টাকা পৌঁছে যাবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। এবার উপবৃত্তি পাওয়া ২ লাখ ৭৯ হাজার ২৭২ জন শিক্ষাথীর্র মধ্যে ছাত্রী ২ লাখ ৫ হাজার ২৯০ ও ছাত্র ৭৩ হাজার ৯৮২ জন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য উপবৃত্তির উপকারভোগীরা যাতে উপকৃত হয়। তাদের কাছে যেন সঠিক সময়ে টাকাটা পৌঁছে যায়, আমরা সেই বিষয়টির উপর গুরুত্ব দেব।’ উপবৃত্তির এই কাযর্ক্রম আরও সম্প্রসারণ করা হবে জানিয়ে সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘এই কাজটি আমরা স্বচ্ছভাবে করতে চাই। কাজটি এখন পযর্ন্ত সেভাবেই চলছে।’ প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম জাকির হোসাইন বলেন, শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় আমরা প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ শিক্ষাথীের্ক উপবৃত্তি দিয়ে থাকি। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষাথীর্রা টাকার অভাবে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেই লক্ষ্যে শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট পরিচালিত হচ্ছে। এই ট্রাস্টের আওতায় শিক্ষাথীের্দর ভতির্ সহায়তা, দুঘর্টনায় সহায়তা, উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে সহায়তা দেয়া হয় বলেও জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘স্নাতক পযাের্য় মেয়েদের ঝরে পড়ার হার বেশি। এই উপবৃত্তি ঝরে পড়ার হার কমাবে বলে আমি মনে করি।’ এবার উপবৃত্তি দিতে ১৫১ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৪০০ টাকা প্রয়োজন হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরসহ অন্য কমর্কতার্রা উপস্থিত ছিলেন।