য²া নিমূের্ল নিবার্চনী ইশতেহারের দাবি

প্রকাশ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অজর্ন করতে হলে ২০৩০ সাল নাগাদ য²ারোগে মৃত্যুর হার ৯০ শতাংশ এবং নতুনভাবে সনাক্তকৃত য²ারোগীর হার ৮০ শতাংশ কমিয়ে আনতে হবে। এজন্য রোগ সনাক্তকরণ ও প্রতিরোধকে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি য²ারোগ নিমূের্ল রাজনৈতিক অঙ্গীকারের বিষয়টি নিবার্চনী ইশতেহারে অন্তভুর্ক্ত করা উচিত। বুধবার সকালে রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত ‘সক্রিয় ভূমিকার মাধ্যমে য²ারোগ সনাক্তকরণ ও রোগ প্রতিরোধ নিশ্চিতকরণ’ শীষর্ক আলোচনা সভায় চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। সরকারের জাতীয় য²া নিয়ন্ত্রণ কমর্সূচি, বাংলাদেশ হেলথ রিপোটার্সর্ ফোরাম ও ব্র্যাক যৌথভাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারের জাতীয় য²া নিয়ন্ত্রণ কমর্সূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. সামিউল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় য²া নিয়ন্ত্রণ কমর্সূচি বাংলাদেশের গেøাবাল ফান্ড ও এমডিআর-টিবির উপদেষ্টা ডা. মো. আব্দুল হামিদ সেলিম। অধ্যাপক ডা. মো. সামিউল ইসলাম বলেন, আমাদের এখন মূল লক্ষ্য য²ারোগের সনাক্তকরণ বাড়ানো। পাশাপাশি এ রোগ নিয়ন্ত্রণে আমরা রোগ সনাক্তকরণের জন্য আধুনিক পদ্ধতির দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। ড. মো. আকরামুল ইসলাম বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অজর্ন করতে হলে ২০৩০ সাল নাগাদ য²ারোগের মৃত্যুর হার অনেকাংশে কমিয়ে আনতে হবে। তাই এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতা ও নিবার্চনী অঙ্গীকার থাকা উচিত। পাশাপাশি তার বক্তব্যে য²ারোগ নিমূের্ল সঠিক বাতার্ পেঁৗছানোর মাধ্যমে ধনী-দরিদ্র নিবিের্শষে সবাইকে উন্নত রোগ নিণর্য় ও চিকিৎসার সুযোগ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আলোচনা সভায় উল্লেখ করা হয়, গ্রামের তুলনায় শহরে য²ারোগের ঝঁুকি বেশী। গ্রামে যেখানে নতুন-পুরাতন সমষ্টিগতভাবে য²ারোগী প্রতি লাখে ২৭০ জন, সেখানে শহরে প্রতি লাখে ৩১৬ জন সনাক্ত হচ্ছে। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা বাংলাদেশের কমিউনিকেবল ডিজিজেস সাভার্ইল্যান্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মিয়া সেপাল নাগন, ব্র্যাকের কমিউনিকেবল ডিজিজেস এ্যান্ড ওয়াশ কমর্সূচির পরিচালক ড. মো. আকরামুল ইসলাম, ডেমিয়েন ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. অংকাই জাই মং, ব্র্যাকের কমিউনিকেবল ডিজিজ প্রোগ্রামের সহযোগী পরিচালক ডা. মাহফুজা রিফাতসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা।