আমাদের দু-একজন সরকারের কোলে বসে আছে: নজরুল

প্রকাশ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
জাতীয় প্রেসক্লাবে সোমবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান Ñযাযাদি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে দু-একজন আছেন, যারা সরকারের বিরুদ্ধে কড়া কড়া কথা বলেছেন, এখন দেখলাম সরকারের কোলে বসে আছে।’ তিনি বলেন, ‘তাদের এমপি হওয়ার এতই শখ যে, এর জন্য এত দিনের কথা সব বদলাতে হলো। এতে আমাদের কিছুই আসে যায় না। কারণ, সিদ্ধান্ত দেয়ার মালিক দেশের জনগণ এবং আসল সিদ্ধান্ত দেয়ার মালিক আল্লাহতায়ালা।’ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল আয়োজিত ‘সবর্জনীন ন্যায়বিচার, বাক্-স্বাধীনতা, অবাধ গণতন্ত্র’ শীষর্ক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নজরুল বলেন, ‘দেশের জনগণ স্থির করে ফেলেছে তারা ভোট দিতে যাবে এবং তাদের পছন্দের ধানের শীষে ভোট দেবে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটের মাধ্যমে জনগণ খুন-গুম-হত্যা, মামলার জবাব দেবে। আর এতে আমরা আশা করি, ধানের শীষের জয় হবে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে হাজারও যুক্তি থাকা সত্তে¡ও নিম্ন আদালত তার মুক্তি অসম্ভব করে তুলেছে। উচ্চ আদালতে জামিন হওয়া সত্তে¡ও নিম্ন আদালত সরকারের অধীনে। অথার্ৎ এই কাজটা করেছে সরকার। সরকার খালেদা জিয়াকে বের হতে দিচ্ছে না। কারণ, তারা বেগম জিয়াকে ভয় পায়, ভয় পায় তার জনপ্রিয়তাকে।’ বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকার আমাদের নেতাকমীের্দর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেবে। পরে উচ্চ আদালত যদি আমাদের জামিনও দেয়, এতে সরকারপক্ষ সন্তুষ্ট নয়। আমাদের জেলেই পাঠাতে হবে! কারণ, নিবার্চন সামনে, আমাদের এই নেতাকমীের্দর যদি জেলে দেয়া না হয়, তাহলে তাদের জয়ের কোনো সুযোগ নেই। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সরকার ভেবেছিল, বেগম জিয়াকে জেলে নিলে বিএনপি ভেঙে যাবে। কিন্তু না; বিএনপি আগের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। অনেক রাজনীতিক দল বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং তারা এক জোটে সংঘবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে।’ প্রতীক বরাদ্দের পর সরকার সমানভাবে কাজ করতে দেবে নাÑ এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে নজরুল বলেন, ‘সরকার এই সুযোগ সৃষ্টিতে বাধা দিবে। কারণ, তারা জানে তাহলে তাদের জেতার কোনো সুযোগ নেই। যদি এমন হয়, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এই বাধা অতিক্রম করতে হবে।’ সরকারের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘একজন রাষ্ট্রীয় খরচে নিবার্চনী প্রচারণ চালাচ্ছে। অন্যজনকে কারাগারে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় মানবাধিকার সনদের সঙ্গে কোনোভাবে সামঞ্জস্য হয় না। সব মানুষের সমান অধিকারÑ এটা হচ্ছে মানবাধিকারের মূল কথা, কিন্তু এই সরকার মানুষকে সমান অধিকার দিচ্ছে না।’ আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে শ্রমিকদলের বিভিন্ন পযাের্য়র নেতাকমীর্রা বক্তব্য রাখেন।