সিইসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

প্রকাশ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
আদালতের আদেশ অমান্য করে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে রেজিস্ট্রেশন পুনবর্হাল না করা এবং প্রাথীের্দর মনোনয়নপত্র বাতিল করায় প্রধান নিবার্চন কমিশনার (সিইসি) সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোটর্। রুলে তাদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রধান নিবার্চন কমিশনারসহ পঁাচ নিবার্চন কমিশনার ও নিবার্চন কমিশন সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোটর্ বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর আদালতের আদেশ অমান্য করে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে রেজিস্ট্রেশন পুনবর্হাল না করা এবং দলটির প্রাথীের্দর মনোনয়নপত্র বাতিল করায় জাতীয় নিবার্চন কমিশনের প্রধান নিবার্চন কমিশনারসহ সব কমিশনারের একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি, সেক্রেটারি এবং প্রাথীের্দর পক্ষে সুপ্রিম কোটের্র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এই নোটিশ পাঠান। সিইসি কেএম নুরুল হুদা ছাড়াও যাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন, মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী। এর আগে গত ১৬ অক্টোবর ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের নিবন্ধন বাতিল করে নিবার্চন কমিশনের (ইসি) দেয়া চিঠির কাযর্কারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোটর্। একই সঙ্গে, নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন বাতিল করা হবে নাÑ তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোটের্র বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ওই দিন আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটনির্ জেনারেল মোখলেসুর রহমান। ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি ড. কাজী ফারুক আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেয়া হয়। ২০০৮ সালের ১৬ নভেম্বর ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনকে নিবন্ধন দিয়েছিল নিবার্চন কমিশন (ইসি)। এই নিবন্ধন বাতিল করে গত ৪ অক্টোবর চিঠি পাঠায় নিবার্চন কমিশন (ইসি)। ইসির এই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়। রিটের শুনানি নিয়ে চিঠির কাযর্কারিতা স্থগিত এবং রুল জারি করেন হাইকোটর্। ওই আদেশ বাস্তবায়ন না করায় আজ তাদের বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠানো হয়।