খালেদার আইনজীবীদের ‘অনাস্থার’ শুনানি আজ

প্রকাশ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
খালেদা জিয়া
একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে তিন আসনে খালেদা জিয়ার প্রাথির্তা নিয়ে দায়ের করা রিট শুনানিতে তৃতীয় বেঞ্চের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আইনজীবীদের করা আবেদনের শুনানির জন্য আজ দিন ধাযর্ করেছেন হাইকোটর্। সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসানের একক বেঞ্চে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের লিখিত আবেদনের বিষয়ে অবগত করার পর আদালত এ দিন নিধার্রণ করেন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল। তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মীর মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। অন্যদিকে নিবার্চন কমিশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাটনির্ জেনারেল মাহবুবে আলম। খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল জানান, ‘আমরা আদালতের কাছে লিখিত আবেদন করে সময় চাই। আদালত প্রথমে সোমবার বেলা ২টায় এবং পরে (২টার পর) মঙ্গলবার শুনানির জন্য দিন নিধার্রণ করেন।’ গত ১৩ ডিসেম্বর মৌখিকভাবে এ আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। গত ১২ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার রিটের বিভক্ত আদেশটি সমাধানের জন্য বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চ নিধার্রণ করে দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। গত ৮ ডিসেম্বর নিবার্চন কমিশনে আপিলের শুনানির পর সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। নিবার্চন কমিশনের এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে পরের দিন ৯ ডিসেম্বর হাইকোটের্ রিট দায়ের করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। ওই রিটের শুনানি শেষে দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দেন আদালত। ১১ ডিসেম্বর বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহম্মেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ খালেদা জিয়ার রিট আবেদনের বিষয়ে বিভক্ত আদেশ দেন। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ রুলসহ মনোনয়নপত্র গ্রহণের আদেশ দিলেও বেঞ্চের অপর বিচারপতি মো. ইকবাল কবির তা নাকচ করেন। আদালতে ওইদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান। অন্যদিকে নিবার্চন কমিশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাটনির্ জেনারেল মাহবুবে আলম। হাইকোটের্র দেয়া ওই বিভক্ত আদেশের কপি এবং সংশ্লিষ্ট নথি ওইদিন (১১ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু আদেশের কপি সংক্ষিপ্ত হওয়ায় প্রধান বিচারপতির কাযার্লয় থেকে পরের দিন ১২ ডিসেম্বর হাইকোটের্র সংশ্লিষ্ট শাখায় তা ফেরত পাঠানো হয়। পরে পূণার্ঙ্গ কপি পাঠানো পর প্রধান বিচারপতি তৃতীয় বেঞ্চ নিধার্রণ করেন।