ডিজিটাল আইনের মামলায় ব্যারিস্টার মইনুলের জামিন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছে হাইকোটর্। মঙ্গলবার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএফ হাসান আরিফ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ রানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটনির্ জেনারেল খুরশীদুল আলম। মাসুদ রানা জানান, ঢাকার গুলশান থানায় ২৬ অক্টোবর করা এই মামলায় মইনুলকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছে হাইকোটর্। ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে বেসরকারি একটি টিভির টক-শোতে মাসুদা ভাট্টি লাইভে যুক্ত হওয়া ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে প্রশ্ন করেন- ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে, আপনি সদ্য গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে এসে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিত্ব করছেন কিনা?’ মইনুল হোসেন এ প্রশ্নের জবাব দেয়ার একপযাের্য় মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন। এমন মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়ার আহŸান জানিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি দেয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন। এরপর রংপুর ও জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে মানহানি ও ডিজিটাল আইনে মামলা করা হয়। রংপুরে করা মানহানির এক মামলায় ২২ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কাযার্লয়ে নেয়া হয়। পরে আদালতে তোলা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।