মাহবুব তালুকদার সত্য বলেননি: সিইসি

প্রকাশ | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মঙ্গলবার রাঙ্গামাটিতে একাদশ সংসদ নিবার্চনে তিন পাবর্ত্য জেলার আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন প্রধান নিবার্চন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা Ñযাযাদি
নিবার্চনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেইÑনিবার্চন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের করা এ মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন প্রধান নিবার্চন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেছেন, ‘মাহবুব তালকদার সত্য বলেননি। নিবার্চনের সামগ্রিক পরিস্থিতি ভালো রয়েছে।’ মঙ্গলবার রাঙ্গামাটিতে একাদশ সংসদ নিবার্চনে তিন পাবর্ত্য জেলার আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ কথা বলেন। সোমবার নিবার্চন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘আমি মনে করি না নিবার্চনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলে কিছু আছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কথাটা এখন অথর্হীন কথায় পযর্বসিত হয়েছে।’ নিবার্চন কমিশনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব তালুকদার এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার মাহবুব তালুকদারের এ মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি দ্বিমত পোষণ করেন। নুরুল হুদা বলেন, ‘সবাই নিজেদের মতো প্রচারণা চালাচ্ছেন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে অসুবিধা কোথায়?’ মতবিনিময় সভায় প্রধান নিবার্চন কমিশনার বলেন, সমতল এলাকার মতো পাহাড়েও গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নিবার্চন হবে। প্রত্যক ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। পাবর্ত্য অঞ্চলে নিবার্চন অনুষ্ঠানে কোনো ঝুঁকি নেই। দুগর্ম ও প্রত্যন্ত এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলোকে বিশেষ ব্যবস্থায় নিবার্চনে দায়িত্বে থাকা সব সদস্য ও সামগ্রী আনা-নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। প্রধান নিবার্চন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, দেশের অন্য এলাকার চেয়ে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম সম্পূণর্ ভিন্ন। সে জন্য এ এলাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূণর্। ১৯০০ সালে থেকে পাহাড়ের ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা, সংস্কৃতি ও ধমর্ ভিন্ন। পাহাড়ি এলাকার মানুষ স্বাধীনতাযুদ্ধেও অনেক অবদান রেখেছেন। এ অঞ্চলের মানুষ অত্যন্ত সরল। প্রধান নিবার্চন কমিশনার নিবার্চনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের কোনো গোষ্ঠী বা প্রাথীর্র কাছে প্রভাবিত না হওয়ার নিদের্শ দেন। প্রত্যক ভোটার তার নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। তারা নিরাপদে ভোট দিয়ে বাড়িতে ফিরে আসবেন। বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা হয়। সেখানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিবার্চন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, নিবার্চন কমিশনের সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান, চট্টগ্রামের ডিআইজি মো. গোলাম ফারুকসহ সেনাবাহিনীর তিন পাবর্ত্য জেলার ব্রিগেড কমান্ডার, তিন পাবর্ত্য জেলার জেলা প্রশাসক, তিন পাবর্ত্য জেলার পুলিশ সুপার, তিন পাবর্ত্য জেলার উপজেলা নিবার্হী কমর্কতার্সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কমর্কতার্রা।