মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচলিত হিন্দু আইনের পরিবর্তন চায় না সম্মিলিত সনাতন পরিষদ

ম যাযাদি রিপোর্ট
  ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০

দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক সমস্যা রয়েছে। সেসব সমস্যার সমাধান না করে সরকার ও একটি মহল হিন্দু আইন পরিবর্তন করতে উঠেপড়ে লেগেছে। শাস্ত্রীয় বিধানের জন্য সম্প্রীতিপূর্ণ পারিবারিক বন্ধনে হিন্দু সম্প্রদায় শান্তিতে ঘর-সংসার করে আসছে। তাই প্রচলিত হিন্দু আইন পরিবর্তন করে এ সংক্রান্ত নতুন আইনের কোনো প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন সম্মিলিত সনাতন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক হীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।

শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন সংগঠনের জোট সম্মিলিত সনাতন পরিষদ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সনাতন পরিষদের সমন্বয়কারী শ্যামল কুমার রায় বলেন, প্রচলিত হিন্দু উত্তরাধিকার আইন/পারসোনাল 'ল' বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতিতে পরিবর্তন করা হলে হিন্দু নারী ও হিন্দু সম্পত্তি উভয়ের বিপদাপন্নতা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে আরও বহুগুণ বেড়ে যাবে। তারপরেও যদি সরকার ও সুবিধাভোগী মহলটি অতি উৎসাহী হয়ে হিন্দু আইন পরিবর্তনে অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত না থাকেন, তাহলে তারা যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য দায়ী থাকবেন।

এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর ডিআরইউতে এক আলোচনা সভায় সনাতন সম্প্রদায়ের আরেকটি অংশ বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদের নেতারা দাবি করেন, দেশের প্রচলিত হিন্দু আইনে নারীরা নানাভাবে বৈষম্যের শিকার। ছেলেরা বাবার সম্পত্তি পেলেও মেয়েরা পায় না। সম্পত্তিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীদের নিরঙ্কুশ উত্তরাধিকার না থাকা, সন্তানের অভিভাবকত্ব ও অধিকার না থাকা, শত নির্যাতনেও বিচ্ছেদের বিধান না থাকার মতো বৈষম্য দূর করতে দেশে প্রচলিত হিন্দু আইনগুলো সংস্কার প্রয়োজন। ওই অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথও হিন্দু আইন সংস্কারের পক্ষে মত দেন।

প্রতিমন্ত্রী ও বিচারপতি সেদিন যে বক্তব্য দেন, তা প্রত্যাহারের দাবি এবং এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলন থেকে। হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদকে এ ধরনের কর্মকান্ড থেকেও বিরত থাকার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আইনজীবী জে কে পাল, আইনজীবী প্রবীর হালদার, আইনজীবী চৈতালী চক্রবর্তী, সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পলাশ কান্তি দে প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে