জলাবদ্ধতা নিরসনে ওয়াসা ও সিটি করপোরেশনের প্রস্তুতি

প্রকাশ | ১১ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
রাজধানীতে একটু বৃষ্টি মানেই সড়কে হঁাটু পানি। কোথাও কোথাও দুই ঘণ্টা থেকে দুই-তিন দিন পযর্ন্ত জলাবদ্ধতা লেগে থাকে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় জলাবদ্ধ এলাকায় বসবাসকারীদের। জলাবদ্ধতার জন্য এলাকাবাসীর অভিযোগ ওয়াসা এবং সিটি করপোরেশনের দিকে। তবে এ বছর জলাবদ্ধতা নিরসনে শতভাগ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওয়াসা ও সিটি করপোরেশনের কমর্কতার্রা। তাদের দাবি, এবারের বষার্য় রাজধানীর কোথাও জলাবদ্ধতা হবে না। বিগত বষার্ মৌসুমে মিরপুর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, খিলক্ষেত, মৌচাক, মালিবাগ, কারওয়ানবাজার, কলাবাগান, যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, বসুন্ধরা এবং কুড়িল এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই হঁাটু পানি জমে যেত। এতে জলাবদ্ধতা ও যানজটের ভোগান্তিতে পড়তেন রাজধানীবাসী। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাস্তার পাশের পানি নিষ্কাশন ড্রেনেজ ছোট হওয়া আর খাল সংস্কার না করার কারণে পানি বের হতে পারে না। এতে রাস্তার মধ্যেই পানি জমে থাকে। মিরপুরবাসী মো. সোহান বলেন, প্রতিবছরই বষার্ মৌসুমে বৃষ্টি হলেই মিরপুরের বিভিন্ন অঞ্চলের চিত্র পাল্টে যায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কোথাও দিনের পর দিন পানি জমে থাকে। এতে রাস্তায় চলাচল করতে যেমন অসুবিধায় পড়তে হয় একই সঙ্গে রাস্তায় জমে থাকা নোংরা পানিতে মশার উপদ্রব বাড়ে। শুধু মিরপুর অঞ্চল না ঢাকার অধিকাংশ অঞ্চলে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে ওয়াসা ও সিটি করপোরেশনের কমর্কতার্রা বলছেন, অতীতে জলাবদ্ধতা হয়েছে, এবার কোনো জলাবদ্ধতা হবে না। এবার আগাম প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এ বিষয়ে ওয়াসার ডিরেক্টর (টেকনিক্যাল) শহিদ উদ্দিন বলেন, জলাবদ্ধতার মূল কারণ বৃষ্টির পানি হাতিরঝিল বা অন্যান্য খালে যেতে না পারা। এ ছাড়া ড্রেনেজ সংস্কার অনেক দিন হয়নি। তবে এবার ড্রেনের সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, এখন খালের কাজ চলছে। হাজারীবাগ খালের দৈঘর্্য দুই মিটার হওয়ার কথা, কিন্তু সেখানে দুই ইঞ্চি আছে। এমন যেসব খালগুলো আছে, সেগুলো উদ্ধার করে সংস্কারকাজ শেষ পযাের্য়। এবার বষার্য় রাজধানীবাসীকে আর ভোগান্তিতে পড়তে হবে না। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার শরিফ উদ্দিন বলেন, জলাবদ্ধতা নিয়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, রাজউক কাজ করে। কিন্তু খালগুলো সংস্কার না হওয়ায় জলাবদ্ধতা কমে না। উত্তর সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অথার্য়নে খিলক্ষেত অঞ্চলের বড়ুয়া খাল সংস্কার করা হয়েছে। ওই অঞ্চলের বেপারিপাড়া, খালপাড়াসহ প্রধান সড়কে আর জলাবদ্ধতা নেই। মিরপুর অঞ্চলে জলাবদ্ধতা কমেছে। তবে মেট্রোরেলের কাজ হওয়ায় কিছু এলাকার পানি খালগুলোতে যেতে দুই-এক ঘণ্টা দেরি হয়। তবে আগের মতো আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে পানিবন্দি থাকে না রাজধানীবাসী। তিনি বলেন, কুড়িল-বসুন্ধরা হয়ে আবুল হোটেল পযর্ন্ত পঁাচ কিলোমিটার রাস্তায়ও ড্রেন সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে। এই অঞ্চলে অন্যান্য সময় পানি জমে থাকত যেটা এবার আর হবে না। এখনো যেসব কাজ বাকি রয়েছে, সেগুলো এক সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হবে।