বাংলাদেশ সুবণর্ সময়ে অবস্থান করছে: স্পিকার

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী
বাংলাদেশ এখন একটি সুবণর্ সময়ে অবস্থান করছে। কেননা, এর বিপুলসংখ্যক জনসংখ্যাকে বতর্মান সরকার সঠিকভাবে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে পারছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। স্পীকার বলেন, বাংলাদেশের অথৈর্নতিক উন্নয়নে এই জনসংখ্যা একটি বিরল সুযোগ। এই সুযোগ একটি দেশের জন্য বারবার আসে না। বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এই দিক থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। এই লক্ষ্যকেই সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। যে কারণে আমরা নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রেও সফলতা দেখছি। আমরা মাতৃ মৃত্যুহার ও শিশু মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে পরেছি। খুব শিগগিরই আমরা এটাকে শূন্যের কোটায় নিয়ে যেতে পারব বলে আশা করছি। আর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই সফলতা অজের্ন নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে মিডিয়ার ভ‚মিকা অত্যন্ত উন্নয়নবান্ধব ও উন্নয়ন সহায়ক। কেননা, জনসচেতনতার মাধ্যমে এই কাজে এগিয়ে যেতে পেরেছি আমরা। তবে জনসচেতনতা সৃষ্টির এই কাজটিতে আরও অগ্রসর হতে হবে। একজন সুস্থ মা একটি সুস্থ জাতি উপহার দিতে পারে। এ ব্যাপারে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) সহযোগিতায় জাতীয় সংসদও ব্যাপক কাযর্ক্রম পরিচালনা করছে। সংসদ সদস্যরা নিজস্ব এলাকায় ব্যাপক প্রচারণা চালানোর মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে জনসংখ্যা-বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টির সঙ্গে যুক্ত থাকছেন। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘পরিকল্পিত পরিবার সুরক্ষিত মানবাধিকার’কে সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূণর্ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, জনসংখ্যা দিবসে যে মানবাধিকারের বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে, তা সবর্প্রথম ইরানের তেহরানে ১৯৬৮ সালে পরিলক্ষিত হয়েছিল। যেটা পরবতীের্ত আন্তজাির্তকভাবে বারবার স্বীকৃতি দেয়া হয়। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়েও সেটা প্রতিফলিত হয়েছে। মানবাধিকারের সঙ্গে সঙ্গে পরিবার পরিকল্পনার বিষয়টি একটি গুরুত্বপূণর্ ইস্যু। যেটা দেশের সাবির্ক উন্নয়নের সঙ্গে কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে নিবিড়ভাবে সম্পকির্ত। সম্পদের যথাযথ ব্যবহার, ব্যক্তির নিজস্ব উন্নতি এবং সামাজিক অগ্রগতির জন্য এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূণর্। এ ছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অজের্নর যে লক্ষ্যমাত্রা আমরা নিধার্রণ করেছি, সেখানেও পরিবার পরিকল্পনাকে মানবাধিকার হিসেবে আখ্যা দিয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। অতএব এ ক্ষেত্রে আমাদের সফলতা অজর্ন অবশ্য কতর্ব্য। শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জিএম সালেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী মোস্তফা সারোয়ার, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ইউএনএফপিএ’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. আসা টোরকেলসন প্রমুখ। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০১৮ উদযাপন উপলক্ষে আইইএম ইউনিট, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নিমির্ত থিম সং রিলিজের মাধ্যমে দিবসটির উদ্বোধন করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের মাচর্ পযর্ন্ত পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয়ভাবে নিবাির্চত শ্রেষ্ঠ কমীর্ ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। এদিকে, প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ায় জনসংখ্যা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য-বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ এবং প্রোগ্রাম তৈরিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য পঁাচজন মিডিয়া ব্যক্তিত্বকে পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়াডর্ ২০১৭-২০১৮ দেয়া হয়।