সিঙ্গাপুরের নজর এখন বাংলাদেশে: বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
রাজধানীর হোটেল সোনারগঁাওয়ে বুধবার বাংলাদেশ সফররত সিঙ্গাপুর ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদসহ অন্যরা Ñযাযাদি
বিনিয়োগের জন্য এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এখন বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে সিঙ্গাপুর। এ জন্য দেশের বিশেষ অথৈর্নতিক অঞ্চলে প্রাথমিকভাবে তাদের ৫০০ একর জমি বরাদ্দ দেয়া হবে। সেখানে তারা তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করবে। বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগঁাওয়ে বাংলাদেশ সফররত সিঙ্গাপুর ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এ সময় সিঙ্গাপুর ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য ও সিঙ্গাপুর-ইন্ডিয়া কমাসর্ অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এসআইসিসিআই) ভাইস চেয়ারম্যান প্রসুন মুখাজির্, বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট মো. শহিদুজ্জামানসহ সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। বিনিয়োগের জন্য চীন ও ইন্দোনেশিয়ার পর এখন বাংলাদেশকে গন্তব্য মনে করছে সিঙ্গাপুর। তিনি বলেন, আমরা চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিশেষ অথৈর্নতিক অঞ্চলে সিঙ্গাপুরকে প্রাথমিকভাবে ৫০০ একর জমি বরাদ্দ দেব। সেখানে তারা তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করবে। এ ছাড়া জ্বালানি, বিদ্যুৎ, আবাসন ও পযর্টন খাতে বিনিয়োগ করবে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী, পরবতীের্ত আরও দুই হাজার একর দেয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ভালো বন্ধু সিঙ্গাপুর। স্বাধীনতার পর থেকেই দুই দেশের বাণজ্যিক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। বতর্মানে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসার পরিমাণ চার বিলিয়ন ডলার। এসআইসিসিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান প্রসুন মুখাজির্ বলেন, সিঙ্গাপুর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি সংরক্ষণবাদী দেশ। কিন্তু আশ্চযর্জনকভাবে তারা বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে জমি একটি বিষয়। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, ৫০০ একর জমি একটি দেশের নিজস্ব জোনের জন্য কিছুই না। তিনি বলেন, এই জোনে বিনিয়োগের পরিমাণ এখনো ঠিক হয়নি। এতে কয়েক বিলিয়ন ডলারের হবে। এ কাজ সম্পূণর্ হতে ১২ বছর লাগবে। কেবল জমি উন্নয়ন করতেই তিন বছর লাগবে।