ডিজিটাল আইন মিডিয়াবান্ধব করতে চাই: আইনমন্ত্রী

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে গণ ও মিডিয়াবান্ধব করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ-বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। বুধবার সচিবালয়ে খসড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে গণমাধ্যম মালিক ও সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া বতর্মানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়-সম্পকির্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে রয়েছে। আইনের খসড়ার বিভিন্ন ধারা নিয়ে গণমাধ্যমকমীর্সহ বিভিন্ন স্তরের মানুষের উদ্বেগ রয়েছে। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে কিছু সংখ্যক রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন, পরে এডিটসর্ কাউন্সিল, বিএফইউজে এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার লোকজন আমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তখন আমি বলেছিলাম, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে এই আইনটি আছে। সেখানে তারা তাদের মতামত দেবেন। গত মিটিংয়ে তারা (গণমাধ্যম মালিক ও সাংবাদিক নেতারা) অনুরোধ করেছিলেন, আমার সঙ্গে আরেকবার বসবেন। সেই বসাই আজকে।’ তিনি বলেন, ‘খসড়ার সংশোধনগুলো নিয়ে তারা আলাপ-আলোচনা করেছেন। এরপরও কিছু কিছু ব্যাখ্যা তারা আমার কাছে চেয়েছিলেন যে, এটা এ রকম কেন? ওটা ও রকম কেন? আর নতুন কিছু সাজেশন দিয়েছেন। সাজেশনগুলো এমন নয় যে কয় দফা। এটা সামগ্রিক বিষয়।’ ‘আইনটার বিষয়ে এমন যেন একটা পারসেপশন না হয় যে, এটা সংবিধানে যে বাক্স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকতার স্বাধীনতা দেয়া হয়েছিল, সেটা যেন বন্ধ না করে। সেখানে আমি আগেও বলেছি, এখনো পরিষ্কারভাবে বলতে চাচ্ছি যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কিছুতেই বঙ্গবন্ধুর দেয়া সংবিধানের বাক্স্বাধীনতা ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতা খবর্ করে কোনো আইন করবে না, করবে না, করবে না।’ আনিসুল হক বলেন, ‘এই আইনটার মধ্যে কিছু কিছু প্রটেকশনের কথা বলা হয়েছে, সেখানে ভুল বুঝাবুঝি হতে পারে, সেগুলো যাতে আমরা আরেকটু ভালোভাবে দেখি। সেই সুপারিশগুলো আমরা নিয়েছি। আপনারা জানেন, আমাদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে হবে, সেই সুপারিশগুলো আমি পেঁৗছে দেব। আমি এগ্রি করেছি, আমরা আরেকবার বসব। এরপর সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে যে সিদ্ধান্ত হবে, সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিলটা পাস হবে।’ আলোচনায় দুটি জিনিস বেরিয়ে এসেছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা হচ্ছে- এই আইনটার প্রয়োজনীয়তা সম্পকের্ আমরা সবাই ঐকমত্য প্রকাশ করেছি। দুই, এই আইনটা গণবান্ধব ও মিডিয়াবান্ধক হোকÑ এটাই আমরা চাই। একটা ভালো আইন হওয়ার যে পথ, এই আলোচনায় সেই পথ পরিষ্কার হয়েছে। যতক্ষণ পযর্ন্ত না সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটা আইন না হবে, ততক্ষণ পযর্ন্ত এই এক্সারসাইজ চলতে থাকবে। যাতে পুরনো আইনে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেগুলো দূর করে আমরা যেন সারা বিশ্বের কাছে একটা রোল মডেলের মতো আইন করতে পারি।’