গাড়ি-বাড়ি, নিরাপত্তাসহ আরও সুযোগ-সুবিধা চায় ইসি

প্রকাশ | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
আওয়ামী লীগের নিবার্চন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম নিবার্চন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন Ñযাযাদি
একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন শেষে নিজের পদোন্নতি, গাড়ি-বাড়ি, নিরাপত্তাসহ আরও সুযোগ-সুবিধা চাইল নিবার্চন কমিশন (ইসি)। রোববার দুপুরে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে নিবার্চন ভবনে বৈঠক করে এমন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর আবেদন জানায় তারা। আওয়ামী লীগের নিবার্চন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধিদলে দলটির নেতা ড. মশিউর রহমান, ড. হাছান মাহমুদ, মো. আকতারুজ্জামান, একিএম রিয়াজুল কবীর কাওসার, ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী, ড. সেলিম মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে এইচটি ইমাম নিবার্চন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ভবিষ্যতে নিবার্চন কমিশন ও তাদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আরও সক্রিয় ও সুন্দর করার জন্য তারা কিছু প্রস্তাব রেখেছে। আমরা সেগুলো সরকারের কাছে পেশ করব।’ তিনি বলেন, ‘নিবার্চন কমিশন মোটামুটিভাবে সবগুলোই প্রশাসনিক কাঠামোগত প্রস্তাব দিয়েছে। যেমন- পদোন্নতির কিছু ব্যাপার আছে, নিবার্চন কমর্কতার্রা যারা তাদের আরও উঁচুস্তরে দেয়া, আরও সুন্দরভাবে দায়িত্ব বন্টন করা, তাদের চলাচলের জন্য গাড়ি ইত্যাদি। এরপর প্রাধিকার, সরকারের যেমন হয়, যেভাবে প্রাতিষ্ঠানিক এবং নিবার্চন কমিশনের জন্য প্রধান নিবার্চন কমিশনার থেকে সব নিবার্চন কমিশনারদের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে তাদের জন্য বাড়ি-ঘর দেয়া, জাজরা (বিচারকরা) যা পেয়ে থাকেন, এগুলো নিয়ে কথা হয়েছে।’ আপনাদের কোনো প্রস্তাব ছিল না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এইচটি ইমাম বলেন, ‘আমার মনে হয় করা উচিত, সরকারের সামথের্্যর মধ্যে যতটুকু আছে। এ ছাড়া নিবার্চন কমিশনের নিজস্ব বাজেট আছে। আমি প্রস্তাব দেব, তাদের বাজেটের মধ্যে যদি এগুলো নিজেরা করে নেয়, তাহলে জাতীয় বাজেটে আমরা সমথর্ন দিলেই কমিশন এমনিই পেয়ে যাবে। খুঁটিনাটি পরে বলব। আমার মনে হয়, এগুলো করা সম্ভব।’ গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের ২৯৯ আসনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গাইবান্ধা-৩ আসনের একজন প্রাথীর্ মৃত্যুবরণ করায় সে আসনে ভোটগ্রহণ হবে ২৭ জানুয়ারি। আর ব্রাহ্মবাড়িয়া-২ আসনের তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ায় সেখানে ৯ জানুয়ারি পুনঃভোটের পর আসনটির ফল প্রকাশ করবে নিবার্চন কমিশন। অবশিষ্ট ২৯৮ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৫৭টি, জাতীয় পাটির্ ২২টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ দুটি, বাংলাদেশের ওয়াকার্সর্ পাটির্ তিনটি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ দুটি, জাতীয় পাটির্-জেপি একটি এবং বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন একটি আসন পেয়েছে। বিএনপি পঁাচটি এবং গণফোরাম দুটি আসন পেয়েছে। আর স্বতন্ত্র থেকে তিনজন প্রাথীর্ জয়লাভ করেছেন।