সেই ফুডকোটটি আজও চালু হয়নি

প্রকাশ | ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
রাজধানীর বনানীতে গড়ে তোলা হয়েছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ফুডকোট Ñযাযাদি
লাল ইটের তৈরি অনেকগুলো দোকান, ছোট ছোট ব্রেঞ্চ ও টেবিল। উপরে খোলা আকাশ। বসার টেবিলের পাশেই বঁাশঝাড়, হাসনাহেনা, কাঠ গোলাপসহ নানা ফুলগাছ। এমন এক মনোরম পরিবেশে বসে চা-কফিসহ নানা খাবার খেতে পারবেন নগরবাসী। রাজধানীবাসীর এমন সুবিধার কথা মাথায় রেখে বনানীতে গড়ে তোলা হয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) একটি ফুডকোট। কামাল আতাতুকর্ এভিনিউসংলগ্ন বনানী মাঠের ঠিক বিপরীতে প্রায় এক বিঘা জায়গা নিয়ে নিমির্ত ডিএনসিসির এ ফুডকোটটি নিমাের্ণ ব্যয় হয়েছে প্রায় দুই কোটি টাকা। ২০১৬ সালের শেষ দিকে এর কাজ শুরু হয়। আর ২০১৮ সালের প্রথম দিকেই এটির নিমার্ণকাজ শেষ করা হয়েছে। কিন্তু ডিএনসিসির এ ফুডকোটটি এখনও চালু করা সম্ভব হয়নি। দুই কোটি টাকা ব্যয়ের এ ফুডকোটটি এখনও কেন চালু হয়নি জানতে চাইলে ফুডকোটের প্রকল্প পরিচালক ও ডিএনসিসির তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম বলেন, ডিএনসিসির প্রকৌশল বিভাগ ফুডকোটটি নিমার্ণকাজ শেষ করে সম্পত্তি বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে। বতর্মানে এটির দায়িত্বে রয়েছে সম্পত্তি বিভাগ, রাজস্ব বিভাগ এবং স্থানীয় কাউন্সিলর। ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কমর্কতার্ আমিনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ১৯ নম্বর ওয়াডর্ কাউন্সিল মফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। উনি বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।’ পরে মফিজুর রহমানকে কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কমর্কতার্ আবদুল হামিদ মিয়া বলেন, ফুডকোটটি চালু করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আশা করা যায়, শিগগিরই এটি চালু হবে। বরাদ্দ বিধি অনুযায়ী ডিএনসিসি নিজেই ফুডকোটটি চালাবে নাকি অন্য কাউকে বরাদ্দ দেয়া হবে সেই বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তিনি আরও বলেন, বরাদ্দ উপবিধি অনুযায়ী স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। তারা সিদ্ধান্ত দেবেন, এরপরই দ্রæত চালু হবে ফুডকোটটি। মূলত ফুডকোট নিমাের্ণর আগে জায়গাটি দখল হয়ে ছিল। দখলদারিত্ব মুক্ত করার জন্যই ফুডকোটটি নিমার্ণকাজ দ্রæত শেষ করা হয়। এখন আশা করা যায়, শিগগিরই ফুডকোটটি চালু হয়ে যাবে। ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা শহরে কোথাও বসে আড্ডা দেয়ার মতো জায়গা খুবই কম। তাই খোলা জায়গায় বসে মানুষ চা খাবে, গল্প করবেÑ এমন চিন্তা থেকে ফুডকোটটি তৈরি করা হয়েছে। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক এ ফুডকোট করার পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী, স্থপতি কাসেফ চৌধুরীর নকশায় ও তত্ত¡াবধানে এটি নিমার্ণ করা হয়। ফুডকোটটি নিমার্ণ করেছে এস এম কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দৃষ্টিনন্দন এ ফুডকোটটি ভোজনরসিকদের আকৃষ্ট করবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।