ই-পাসপোটের্র কাজ পাচ্ছে জামার্ন কোম্পানি

মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন

প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
সোয়া তিন হাজার কোটি টাকায় বাংলাদেশকে ই-পাসপোটর্ ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহের কাজ পেয়েছে জামার্ন কোম্পানি ভেরিডোস জিএমবিএইচ। ওই টাকায় প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশকে ২০ লাখ পাসপোটর্ বুকলেট, ২ কোটি ৮০ লাখ পাসপোটর্ তৈরির সরঞ্জাম, আনুষঙ্গিক হাডর্ওয়্যার, সফটওয়্যার এবং ১০ বছর রক্ষণাবেক্ষণ সেবা দেবে। অথর্মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভেরিডোসের কাছ থেকে ওই সরঞ্জাম ও সেবা কেনার প্রস্তাব অনুমোদন পায়। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ ই-পাসপোটর্ অটোমেটেড বডার্র নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা’ প্রকল্পের আওতায় এসব পণ্য ও সেবা জিটুজি ভিত্তিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে জামাির্নর থেকে কেনা হবে। ব্যয় হবে মোট তিন হাজার ৩৩৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। বাংলাদেশে হাতে লেখা পাসপোটর্ থেকে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোটর্ বা এমআরপি প্রবতের্নর পর এক দশকও পার হয়নি। কিন্তু এমআরপির ডেটাবেসে ১০ আঙুলের ছাপ সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় একাধিক পাসপোটর্ করার প্রবণতা দেখে সরকার ই-পাসপোটর্ প্রবতের্নর উদ্যোগ নেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জামাির্ন সফরের সময় ২০১৭ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি সে দেশের প্রতিষ্ঠান ভেরিডোস জিএমবিএইচ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ই-পাসপোটর্ চালুর বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়। এরপর গত ২১ জুন ‘বাংলাদেশে ই-পাসপোটর্ ও স্বয়ংক্রিয় বডার্র নিয়ন্ত্রণ’ প্রকল্পটি একনেকের অনুমোদন পেলে বিষয়টি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে আসে। মোস্তাফিজুর জানান, স্বল্প ও দীঘর্ ১৫ বছর মেয়াদে ভারত থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার একটি প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। ‘চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে ভারতের সেমক্রপ গায়ত্রী পাওয়ার লিমিটেড থেকে কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ দেশের সঞ্চালন লাইনে যোগ হবে।’ স্বল্প মেয়াদে চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পযর্ন্ত আসা প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম পড়বে ৪ টাকা ৬৯ পয়সা। আর দীঘর্ মেয়াদে ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পযর্ন্ত আসা প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম ৬ টাকা ১৭ পয়সা পড়বে বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব। তিনি বলেন, আন্তজাির্তক দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ক্রয় কমিটি। সবির্নম্ন দরদাতা হিসেবে সিঙ্গাপুরের অ্যাগ্রোকোর ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতি মেট্রিক গম ২৫৬ দশমিক ৩৮ ডলার মূল্য সরবরাহ করবে। এত ব্যয় হবে ১০৭ কোটি ৭৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। ২০১৯ শিক্ষাবষের্ বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ১৩ কোটি ৭৪ লাখ ৭০ হাজারটি বাই ছাপানোর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ক্রয় কমিটি। ১৮৮টি লটে দেশের ভেতরে এসব বই ছাপাতে সরকারের ব্যয় হবে ৪৩৩ কোটি ৪৫ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। মোস্তাফিজুর জানান, ঢাকা শহরের সাবওয়ে নিমাের্ণর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য টিপসা স্পেন নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে পরামশর্ক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। বাংলাদেশ সেতু কতৃর্পক্ষের এই প্রকল্পে ব্যয় হবে ২১৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা। পাবলিক প্রাইভেট পাটর্নারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে গাবতলী-নবীনগর চার লেন মহাসড়ককে এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীতকরণ প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অথৈর্নতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এ ছাড়া স্থানীয় উদ্যোক্তাদের বিদেশে ইক্যুইটি ইনভেস্ট-সংক্রান্ত আথির্ক প্রতিষ্ঠান বিভাগের খসড়া নীতিমালাটি আরও পযাের্লাচনা করে পরবতীর্ বৈঠকে তোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে এই কমিটি।