সমন্বয় না থাকলে দুযোের্গর দুভোর্গ থেকে মুক্তি নেই

প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
নিজেদের মধ্যে সমন্বয় না থাকলে দুযোের্গর দুভোর্গ থেকে মুক্তি নেই বলে সরকারের সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে সতকর্ করেছেন দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে আয়োজিত ‘হাওর এলাকায় অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার কারণ চিহ্নিতকরণ ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীষর্ক দিনব্যাপী কমর্শালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, হাওরের মানুষ মাত্র দুইটা জিনিস চায়। তারা চায় বাঁধ রক্ষা পাক এবং তারা যেন ধান ক্ষেত থেকে তুলে, শুকিয়ে ঘরে তুলতে পারে। এমনিতেই দুযোর্গ, দুভোর্গ লেগেই আছে। তারপর এতে সরকারের নেয়া নানা কমর্সূচিতে যদি সমন্বয় না করা যায়, তবে দুভোর্গ আরও বেড়ে যায়। তাই হাওরবাসীর ছোট এই চাওয়া পূরণে সরকারের অনেকগুলো মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং সংস্থাকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। তা না হলে হাওর রক্ষা করা সম্ভব হবে না। মায়া বলেন, হাওর এলাকায় বন্যাঝুঁকি মোকাবিলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নিয়মিত মেরামত ও সংস্কার করা, নিয়মিত নদী খননের মাধ্যমে ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি ও দ্রæত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা, বন্যার পূবার্ভাস দ্রæত কৃষকের কাছে পৌঁছে দেয়া, আগামজাত ও বন্যাসহিষ্ণু জাতের ধান আবাদে কৃষককে উৎসাহিত করা, বাঁধ ব্যবস্থাপনা ও নিমাের্ণ স্থানীয়দের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, গবাদি পশুর জন্য দানাদার খাদ্য সরবরাহ, নিচু বিল ধানচাষের পরিবতের্ মাছ চাষে ব্যবহার করা, কাযর্কর আন্তঃনদী সংযোগ স্থাপন করা ও বতর্মান আন্তঃনদী সংযোগের উন্নয়ন করা, হাওর অঞ্চলে আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা, নিম্নাঞ্চলের মানুষের ঘরের ভিটা উঁচু করে দেয়া এবং এই অঞ্চলে বিশেষ অথৈর্নতিক জোন তৈরির মাধ্যমে হাওরের মানুষের কমর্সংস্থান সৃষ্টির পদক্ষেপকে আমি কাযর্কর বলে মনে করি। অনুষ্ঠানে দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল বলেন, সারাদেশের সড়ক ও সেতুর যে নকশা, হাওর এলাকার জন্য তাই। এটা হতে পারে না। দেশের হাওর, উপকূল, পাহাড় এবং সমতলের জন্য আলাদা আলাদা নকশা, নিমার্ণকৌশল ও ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থায়ও হাওরের সাত জেলার জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকতে হবে। এর দায় নিতে হবে হাওর জলাশয় উন্নয়ন বোডের্ক। প্রচলিত সড়ক ব্যবস্থার পরিবতের্ ১২ মাস ব্যবহার উপযোগী এলিভেটেড এক্সপ্রেস রোড ও শুকনার সময় ব্যবহারযোগ্য সাব-মাসির্বল রোড তৈরি করতে হবে। বিশিষ্ট পানি বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত অনুষ্ঠানে বলেন, দেশের সাতটি জেলার প্রতিটি হাওরেরই চরিত্র আলাদা আলাদা। প্রতিটি নদীর চরিত্রও তাই। এজন্য প্রতিটি হাওর ও নদীকে আলাদাভাবে না চিনলে এর সঠিক ব্যবস্থাপনা কঠিন। আমরা ২০১১ সালে ভারতের সঙ্গে করা যৌথ অববাহিকা ব্যবস্থাপনা চুক্তি বাস্তবায়নের কাজই শুরু করতে পারিনি। এটা কাযর্কর করতে পারলেই অনেক সমস্যার সমাধান হবে।