চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা: গ্রেপ্তার ১৩

প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রাজধানীতে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারকৃত প্রতারক চক্র Ñযাযাদি
যাযাদি রিপোটর্ পত্রিকায় চোখ ধঁাধানো চাকরির বিজ্ঞপ্তি। মোটা অঙ্কের বেতনের প্রলোভন। ইন্টারভিউ শেষে চাকরি হয়ে গেছে জানিয়ে নিধাির্রত তারিখে যোগদান করতে বলা হয়। এরপর সিকিউরিটি মানি, পেনশন স্কিম এবং ব্যক্তিগত গাড়ি দেয়ার নামে ৩-১৫ লাখ টাকা করে জমা দিতে বলা হয়। চাকরির প্রয়োজনে বা লোভে পড়ে অনেকেই সেই টাকা জমাও দিয়েছেন, তবে প্রতারণার বিষয়টি বুঝে ওঠার আগেই অফিস তালা দিয়ে পালিয়েছে চাকরিদাতা প্রতারকচক্র। দেশি-বিদেশি নামি-দামি প্রতিষ্ঠানে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে এমন একটি চক্রের ১৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে সিআইডির সদস্যরা তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সানলাইট গ্রæপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আদনান তালুকদার ওরফে আল আমিন (৪০), পরিচালক খন্দকার মো. আলমগীর ওরফে মাসুম (৪২) ও মো. জহুরুল হক ওরফে মো. শাহজাহান মিয়া (৪২), সৈয়দ সাহরিয়ার সোহাগ ওরফে মো. আবু শাফি তালুকদার শাফিন, প্রতিষ্ঠানটির গণসংযোগ কমর্কতার্ খালেদ মাহমুদ ওরফে মো. সবুজ মিয়া (৩২), মো. রহমত উল্লাহ সৌরভ ওরফে মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. হাফিজুর রহমান আল মামুন ওরফে মামুন লস্কার, মো. ইনছান আলী, মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. নাদিম উদ্দিন, মো. মেহেদী হাসান, মো. হানিফ কাজী ও মো. মামুনুর রশিদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কাযার্লয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, চক্রটি মূলত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের টাগের্ট করে। তিন-চার মাস পরপর তাদের অবস্থান পরিবতর্ন করে এবং বিভিন্ন নামে অফিস খুলে চাকরি দেয়ার নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে অথর্ হাতিয়ে নেয়। ২০১৩ সাল থেকেই চক্রটি এখন পযর্ন্ত ফরচুন গ্রæপ অব কোম্পানিজ, রেক্সন গ্রæপ অব কোম্পানিজ, ইস্টানর্ গ্রæপ অব কোম্পানিজ, কেয়া গ্রæপ অব কোম্পানিজ, নেক্সাস গ্রæপ অব কোম্পানিজ, সানলাইট গ্রæপ অব কোম্পানিজ এবং ম্যাক্স ভিশন গ্রæপ অব কোম্পানিজ নামে বহু মানুষকে প্রতারিত করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার নামে প্রায় ৫০ জনের কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল তারা। প্রতারণার শিকার হয়ে পল্টন থানায় ভুক্তভোগিরা মামলা দায়ের করলে সেই সূত্র ধরে সিআইডি বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এই চক্রের মূলহোতা আল আমিন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রতারণার দায়ে আটটি মামলা পাওয়া গেছে। এর আগে চাকরি দেয়ার প্রতারণার দায়ে র‌্যাব তাদের গ্রেপ্তার করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।