কথার সঙ্গে কাজের মিল নেই আ’লীগের: রিজভী

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কাযার্লয়ে মঙ্গলবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী Ñযাযাদি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রথমে সংলাপ ও পরে শুভেচ্ছা বিনিময়ে গণভবনে রাজনৈতিক দলগুলোকে আহŸান জানানো হবে বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের কথার সঙ্গে কাজের মিল নেই, এ বক্তব্যই তার প্রমাণ। আমরা বলেছি, আপনারা ভুয়া ভোটের যে নিবার্চন করেছেন, সেটা বাতিল করুন এবং এজেন্ডা কী সেটা ঠিক করুন। তারা একবার বলছেন সংলাপ, আবার সোমবার বলেছেন শুভেচ্ছা বিনিময়। এটা সরাসরি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা। মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কাযার্লয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা সাজানো মামলায় বন্দি করার মূল কারণই ছিল একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন। তাকে বাইরে রেখে ভোট ডাকাতির এ রকম নিবার্চন সম্ভব ছিল না। খালেদা জিয়া বাংলাদেশের জনগণের মাঝে উচ্চারিত একজন জনপ্রিয় নেত্রীর নাম। তিনি জীবনে কখনো নিবার্চনে পরাজিত হননি। পঁাচটি ও পরে তিনটি আসনে তিনি বাংলাদেশের যে প্রান্ত থেকেই নিবার্চনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছেন, সেখানেই বিপুল ভোটে নিবাির্চত হয়েছেন। এই জনপ্রিয়তাই তার জন্য কাল হয়েছে। তার এই জনপ্রিয়তা কোনোভাবেই সহ্য করতে পারেনি আওয়ামী লীগ ও দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা। রপ্তানি আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস গামের্ন্ট শিল্পকে পরিকল্পিতভাবে সরকার ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, মালিক-শ্রমিকদের মুখোমুখি দঁাড় করিয়ে দেশের অথর্নীতির মূল চালিকাশক্তি গামের্ন্ট শিল্প এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম। গামের্ন্টশ্রমিকদের ন্যায্য পারিশ্রমিক নিধার্রণ করে তা মালিকদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে সরকারের ব্যথর্তা গত কয়েকদিন ধরে ফুটে উঠেছে। বিদেশি কাউকে সুবিধা দিতে এর পেছনে সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য কাজ করছে বলেই দেশের জনগণ বিশ্বাস করে। অতীতেও আপনারা দেখেছেন স্বাধীনতার পর কীভাবে আওয়ামী লীগ পাট শিল্পকে ধ্বংস করেছে। বতর্মান অবৈধ সরকার চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূণর্ভাবে ব্যথর্ হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে চালের দাম ফের বেড়েছে কয়েক দফায়। প্রতি কেজি চালের দাম গত এক সপ্তাহে বেড়েছে ৬ থেকে ৮ টাকা। সরকারদলীয় সিন্ডিকেটের লোকেরাই কারসাজি করে এই দাম বৃদ্ধি করেছেন। ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়ানোর কথা বলে একসময় ভোট চাইলেও বতর্মানে মোটা চালের দামও পঞ্চাশ টাকার নিচে নয়। অন্যান্য চাল ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, ডা. আব্দুল কুদ্দুস, বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহদপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।