ইরানের জনগণ খুব পছন্দ করে আপনাকে হাসিনাকে রাষ্ট্রদূত

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০ | আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৫১

যাযাদি রিপোটর্
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কাযার্লয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ রেজা নাফার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী তাকে বাংলাদেশের প্রতীকী নৌকা উপহার দেন Ñফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসে শেখ হাসিনার ভ‚য়সী প্রশংসা করেছেন ইরানের নতুন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেজা নাফার। তার দেশের মানুষও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে খুব পছন্দ করেন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কাযার্লয়ে এই সৌজন্য সাক্ষাতে ইরানের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা বাতার্ পেঁৗছে দেন রাষ্ট্রদূত নাফার। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের ‘জ্ঞানী ও দূরদশীর্’ প্রধানমন্ত্রী অভিহিত করে নাফার বলেন, ‘ইরানের জণগণ আপনাকে খুব পছন্দ করে।’ বাংলাদেশের আথর্-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অজের্নর স্বীকৃতি পাওয়ায় অভিনন্দন জানান তিনি। ইরান ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে নতুন এই রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে ঐহিত্যগত ধমীর্য় ও সাংস্কৃতিক যে বন্ধন রয়েছে, সেটাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’ ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেন, পশ্চিমা অবরোধ সত্তে¡ও ইরান ‘এগিয়ে চলছে’। ওই অঞ্চলে উত্তেজনা কমাতে তাদের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজ করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধপ্রবণ দেশ না।’ উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা কমাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কোনো উদ্যোগ নিলে ইরান তা স্বাগত জানাবে বলে মন্তব্য করেন নাফার। নতুন দায়িত্ব নেয়া ইরানের রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে ন্যাম ও ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিতে ২০১২ ও ১৯৯৭ সালে নিজের ইরান সফরের কথা স্মরণ করেন শেখ হাসিনা। মুসলিম দেশগুলোর এক থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে কোনো সমস্যা হলে সেটা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। দুটি মুসলিম দেশের মধ্যে সংঘষর্ হলে জনগণ ভুক্তভোগী হয়।’ দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সাযুজ্যের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ বলেও জানান শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের অথৈর্নতিক উন্নয়ন প্রসঙ্গে গ্রামের উন্নয়নের পাশাপাশি ‘ধমীর্য় সম্প্রীতির’ কথাও তুলে ধরেন তিনি। সৌজন্য সাক্ষাতে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান ও কাযার্লয় সচিব সাজ্জাদুল হাসান।