গৃহস্থালি প্লাস্টিক পণ্যে বড় সম্ভাবনা

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
রাজধানীতে একটি প্লাস্টিক পণ্যের দোকান Ñযাযাদি
শিশুদের খেলনা ও হাউজহোল্ড (গৃহস্থালি) আইটেমসহ পঁাচ ধরনের প্লাস্টিক পণ্যের দেশ-বিদেশে নতুন নতুন বাজারের সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা। বাকি পণ্যগুলো ব্যাগ ও বস্তা, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য এবং ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স আইটেম। এগুলোসহ প্লাস্টিকের সব ধরনের পণ্য উৎপাদন ও বিপণনে দেশের বতর্মান বাজার ২৫ হাজার কোটি টাকা। আর বিশ্ব প্লাস্টিক বাজার হচ্ছে ৫৭০ বিলিয়ন ডলারের। সেখানে বাংলাদেশের অবদান মাত্র দশমিক ০৬ শতাংশ। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, দেশের চাহিদা মিটিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্ব প্লাস্টিক খাতের ৩ শতাংশ পণ্য উৎপাদন ও বিপণনের সক্ষমতা অজর্ন করবে। ফলে প্রতি মাসে এখন যেখানে মাথাপিছু ৫ থেকে ৬ কেজি প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার হচ্ছে। সেখানে ব্যবহার হবে ৩৪ কেজি প্লাস্টিক পণ্য। এ লক্ষ্য অজের্ন একটি পরিকল্পনা নিয়েছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)। সংগঠনটি সেক্টরের সঙ্গে জড়িতদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে একটি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশন করেছে। একইসঙ্গে এ শিল্পে জড়িত ছোট-বড় মোট ৫ হাজার ইন্ডাস্ট্রিকে একত্রে নিয়ে আসার জন্য আলাদা একটি ইকোনোমিক জোন চেয়েছে সরকারের কাছে। এদিকে প্লাস্টিক খাতের জন্য ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা ও প্লাস্টিক খেলনার আইটেমের ওপর ভ্যাট মওকুফ চান তারা। এ সুযোগ-সুবিধা দিলে দ্রæত রপ্তানি বাড়বে। জাপান ও চীনের বাজার বাংলাদেশ দখল করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যবসায়ীদের। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে, ২০০৩-০৪ অথর্বছরের মোট রপ্তানির ১ দশমিক ৪১ শতাংশ এসেছে প্লাস্টিক খাত থেকে। আর ২০১৭-১৮ অথর্বছরের মোট রপ্তানির ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ এসেছে প্লাস্টিক খাত থেকে। বিপিজিএমইএ’র তথ্য মতে, ২০০৩-০৪ অথর্বছরের প্লাস্টিক পণ্য ১০৭ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ইউএস ডলার সমপরিমাণ অথের্র পণ্য রপ্তানি হয়েছে। সেখান থেকে বেড়ে ২০১৭-১৮ অথর্বছরে দঁাড়িয়েছে ৬০০ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন ইউএস ডলার পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ বিষয়ে বিপিজিএমইএ’র সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, দেশের অনেক উন্নতি হচ্ছে, ফলে গামের্ন্টস ও ওষুধসহ সব ধরনের পণ্যে এখন প্লাস্টিকের ব্যবহার হচ্ছে। দেশ যত উন্নত হবে, ততই প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বাড়বে। তার কারণ মানুষ আধুনিক হবে। আর তার জন্য সবকিছুতে প্যাকেটজাতকরণ হবে। ফলে দেশ-বিদেশের চাহিদাও আরো বাড়বে। তিনি আরও বলেন, এখন ২০-২৫টি কোম্পানি বিদেশে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি করছে। আগামী দুই থেকে চার বছরের মধ্যে হয়তো ১০০-১৫০টি ইন্ডাস্ট্রি পণ্য রপ্তানি করছে। ফলে আমাদের এক্সপোটের্র গ্রোথও বাড়বে। তার কারণ এখন আমরা ৬ থেকে ৭শ’ মিলিয়ন প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি করছি। জামাির্নসহ ইউরোপিয়ানরা এখন আমাদের কাছ থেকে প্লাস্টিক পণ্য নিচ্ছে। আমাদের পণ্য ভালো হলে তারা আরো বেশি নেবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।