মজুরি বোডের্র বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত

প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফন্টের সমাবেশ Ñযাযাদি
মজুরি বোডর্, বিকেএমইএ ও বিজিএমইএর নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত। তাদের ভুলের কারণে সুমনের মৃত্যু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফন্টের ৩৭তম প্রতিষ্ঠা বাষির্কী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আজকে শ্রমিক আন্দোলন করছে তাদের দাবির জন্য। ভুল করেছে মজুরি বোডর্, বিকেএমইএ ও বিজিএমইএ। আর তার খেসারত দিতে হচ্ছে শ্রমিকদের। আমি এই সমাবেশ থেকে তার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি সঙ্গে সঙ্গে মজুরি বোডর্, বিকেএমইএ এবং বিজিএমইএর নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত। তাদের ভুলের কারণে সুমনের মৃত্যু হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, শ্রম আইন শ্রমিকদের পক্ষে তৈরি করেনি। শ্রম আইন মালিকদের পক্ষে তৈরি হয়েছে। পুঁজিবাদীদের স্বাথর্ রক্ষার জন্য এই আইন হয়েছে। শ্রম আইনের যত কালা কানুন এ পযর্ন্ত তৈরি করা হয়েছে, পরিষ্কার করে তা বাতিল করতে হবে। যেসব শ্রম আইনের মাধ্যমে শ্রমিকদের নিযার্তনের শিকল পরিয়ে দেয়া হয়েছে, আজকে সেই শিকল ভেঙে সারাদেশের শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, এই সমাজের যা কিছু সম্পদ তৈরি হয় শ্রমিকের শ্রমে আর ঘামে। আর এই সমাজের সবচেয়ে বেশি লাঞ্চিত হয় শ্রমিক ও কৃষকরা। উন্নয়নের মহাসড়কের অভূতপূবর্ দৃষ্টান্ত আমরা দেখছি। একদিকে ফ্লাইওভার দেখছি, সুউচ্চ ভবন দেখছি কিন্তু আরেক দিকে শ্রমিকদের জীবন কীভাবে অতলে তলিয়ে যাচ্ছে তার খবর কি আমরা রাখছি? সমাবেশ থেকে শ্রম আইনের গণতান্ত্রিক ধারাসমূহ বাতিল, ট্রেড ইউনিয়ন করার গণতান্ত্রিক অধিকার, ন্যূনতম জাতীয় মজুরি ১৮ হাজার টাকা নিধার্রণ, মজুরি গ্রেড ও মাতৃত্বকালীন ছুটির বৈষম্য দূর করাসহ বেশ কয়েকটি দাবি জানানো হয়। সমাবেশ শেষে একটি লাল পতাকা মিছিল নিয়ে পল্টন এলাকায় প্রদক্ষিণ করে তারা।