নিজেদের মুখ রক্ষায় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপের বাহানা: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যে ‘জাতীয় সংলাপ’র আওয়াজ তুলছে সেটা তাদের মুখ রক্ষা এবং রাজনৈতিক আলোচনায় টিকে থাকার নতুন বাহানা বলে মনে করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, আমাদের বিজয় যেমন ধস নামানো বিজয়, তেমনি তাদের পরাজয়ও ধস নামানো পরাজয়। মুখ রক্ষার জন্য কমীের্দর বোঝানোর জন্য কিছু একটা করতে হয়। সেজন্য নতুন বাহানা হচ্ছে জাতীয় সংলাপ। নিজেদের মুখ রক্ষার জন্য এবং রাজনৈতিক আলোচনায় টিকে থাকার জন্য এই জাতীয় সংলাপের কথা বলছে তারা। শুক্রবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিশেষ বধির্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন। শনিবার (১৯ জানুয়ারি) ঐতিহাসিক সোহরাওয়াদীর্ উদ্যানে আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশের প্রস্তুতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের কাযার্লয়ে এই বিশেষ বধির্ত সভার আয়োজন করা হয়। হাছান মাহমুদ বলেন, ঐক্যফ্রন্টের এই ‘জাতীয় সংলাপ’র সিদ্ধান্তের মধ্যেই বিএনপি নেই। শুরুতেই অনৈক্য। আসলে রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্যই তাদের এই ব্যথর্ চেষ্টা। নিবার্চনে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে টিআইবির দাবির জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নিবার্চনে পরাজিত হওয়ার পর তারা (বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট) আইসিইউতে চলে গেছে। কিছু সংগঠন তাদের অক্সিজেন দিয়ে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে, যেমন টিআইবি। আসলে নিবার্চনে টিআইবি কোনো পযের্বক্ষক ছিল না। তারা এখন মনগড়া তথ্য দিচ্ছে। তাদের টিকিয়ে রাখার জন্য টিআইবির এটা ব্যথর্ চেষ্টা। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, নিবার্চনে আমাদের বিশাল বিজয়, পরপর তিনবারের এই বিজয় উৎসব করার মতো বিজয়। কিন্তু নেত্রীর (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) নিদেের্শ আমরা কোনো উৎসব করিনি। শনিবারের মহাসমাবেশে উৎসব হবে, কিন্তু কোনো বিশৃঙ্খলা যেন না হয়। এই বিজয়ে আমাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। আমাদের আচার-আচরণ যেন কারও বিরক্তির কারণ না হয়। তাহলে মানুষ আবারও আমাদের ভোট দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে বধির্ত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। সভায় মহানগর দক্ষিণ শাখার অন্তগর্ত থানা ও ওয়াডের্র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।