চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আসছে ক্যাঙ্গারু, উটপাখি, এমু

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা Ñযাযাদি
বাঘ, সিংহ, জেব্রার পর এবার চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় প্রাণী পরিবারে যুক্ত হচ্ছে ক্যাঙ্গারু, উটপাখি ও এমু। চলতি বছরের মাঝামাঝিতে এই তিন প্রজাতির প্রাণী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আসবে বলে ধারণা কতৃর্পক্ষের। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কতৃর্পক্ষের সদস্যসচিব ও হাটহাজারী উপজেলার নিবার্হী কমর্কতার্ রুহুল আমিন বলেন, ‘আমরা নিজস্ব পরিকল্পনা শেষ করেছি। পাশাপাশি এসব প্রাণীর জন্য তিনটি খঁাচাও তৈরি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সম্মতি নিয়েই আমরা মূল প্রক্রিয়া শুরু করব। সব মিলিয়ে এ বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই ক্যাঙ্গারু, উটপাখি ও এমু পাখিগুলো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এসে পেঁৗছবে বলে আশা করছি।’ ১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম নগরীর ফয়’স লেক এলাকায় ছয় একর জায়গা নিয়ে নিমির্ত হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তত্ত¡াবধানে পরিচালিত এই চিড়িয়াখানায় বতর্মানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, বাঘ, সিংহ, হরিণ, কুমির, ভাল্লুকসহ প্রায় ৬৫ প্রজাতির প্রাণী। মাঝে বাঘ, সিংহসহ নানা রকম পশুর অভাব ও নানা কারণে শ্রীহীন হয়ে গিয়েছিল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। পরে এই চিড়িয়াখানার শ্রী ফেরাতে নানা রকম উদ্যোগ নেয় চিড়িয়াখানা কতৃর্পক্ষ। চিড়িয়াখানার চিকিৎসক ও ডেপুটি কিউরেটরের দায়িত্বে থাকা শাহাদাৎ হোসেন শুভ বলেন, চিড়িয়াখানার পশ্চিম পাশে পাহাড়ের নিচে প্রায় ৪৮ হাজার বগর্ফুট জায়গা আছে। সেখানে মাটি ভরাট করে তিনটি খঁাচা নিমার্ণ করা হয়েছে। সেখানে রাখা হবে ক্যাঙ্গারু, উটপাখি ও এমু পাখিগুলো। ছয়টি করে উট পাখি ও এমু পাখি এবং চারটি ক্যাঙ্গারু আনার পরিকল্পনার কথা জানান শুভ। শুভ বলেন, প্রাণীগুলো যেন দ্রæত খাপ খাইয়ে নিতে পারে, সেটি বিবেচনা করেই খঁাচাগুলো নিমার্ণ করা হয়েছে। রুহুল আমিন বলেন, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা দেশের লাভজনক চিড়িয়াখানার একটি। সরকারি কোনো অনুদান ছাড়াই টিকিট বিক্রির টাকা দিয়ে এটি পরিচালিত হয়। বাঘ, জেব্রার মতো টিকিট বিক্রির টাকা থেকে চিড়িয়াখানায় আয় হওয়া অথর্ দিয়েই ক্যাঙ্গারু, উটপাখি ও এমুগুলো আনা হবে। চিড়িয়াখানা কমর্কতার্রা জানান, প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার দশর্নাথীর্ চিড়িয়াখানায় যায়। এর মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি কিংবা অন্যান্য ছুটিতে তা সাত থেকে ১০ হাজার হয়ে যায়। টিকিট বিক্রির এই টাকা থেকে ২০ জন কমর্কতার্-কমর্চারী বেতন পরিশোধ, পশুখাদ্য ও উন্নয়ন খরচ বহন করা হয়। রুহুল আমিন জানান, জেলা প্রশাসকের সম্মতি নেয়ার পর বন ও পরিবশে মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও বনবিভাগের ‘অনাপত্তিপত্রের’ জন্য আবেদন করা হবে। সেগুলো হলে আন্তজাির্তক দরপত্রের মাধ্যমে প্রাণীগুলো সংগ্রহ করা হবে।