একুশের গ্রন্থমেলা

দৃষ্টিনন্দন ও পাঠকবান্ধব হবে এবারের বইমেলা

এবারের মেলার মূল থিম নিধার্রণ করা হয়েছে ‘বিজয় : ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ এবং নবপযার্য়’। ১ ফেব্রæয়ারি বিকাল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলার উদ্বোধন করবেন

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
বইমেলার একটি স্টল Ñফাইল ছবি
আর মাত্র কয়েকদিন। এরপরই শুরু হচ্ছে ভাষার মাস। শুরু হবে বাঙালির প্রাণের উৎসব । অতীতের মতো এবারও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়াদীর্ উদ্যানেই অনুষ্ঠিত হবে মাসব্যাপী এই মেলা। তবে এবার বেশ বড় ধরনের পরিবতর্ন হচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলার সীমানা ও অবকাঠামোর। উদ্যানের অংশ এবার বিস্তৃত হচ্ছে বিজয় স্তম্ভ, গøাস টাওয়ারসহ শিখা চিরন্তন পযর্ন্ত। এ ছাড়া মেলায় থাকছে পাঠকদের জন্য বসার স্থান, খাবার ও আড্ডা দেয়ার জায়গা। পুরো ফেব্রæয়ারি মাসজুড়ে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়াদীর্ উদ্যানে আগের যেকোনো বারের চেয়ে এবারের বইমেলা হবে আরও দৃষ্টিনন্দন ও পাঠকবান্ধব। সে রকম সব ব্যবস্থা করেই এবারের বইমেলা সাজানো হবে বলে জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী। একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, এবার মেলার নকশা করেছেন স্থপতি এনামুল করিম নিঝর্র। সোহরাওয়াদীর্ উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভের গøাস টাওয়ারকে কেন্দ্র করে বিন্যস্ত হচ্ছে মেলার এবারের নকশা। রাতে স্বাধীনতা স্তম্ভের আলো যেন পুরো মেলায় ছড়িয়ে পড়ে, স্টলগুলো সাজানো হচ্ছে সেভাবেই। মেলায় অংশ নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে দেশের প্রকাশনা সংস্থাগুলোকে বিভিন্ন মানের মোট ৬ শতাধিক স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন মানের ৪২টি প্যাভিলিয়ন। এগুলো থাকবে সোহরাওয়াদীর্ উদ্যান অংশে। আর একাডেমির ভেতরে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের থাকবে ১০০টি স্টল। বাংলা একাডেমির পরিচালক ও অমর একুশে গ্রন্থমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ জানান, এবারের মেলার মূল থিম নিধার্রণ করা হয়েছে ‘বিজয় : ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ এবং নবপযার্য়’। ১ ফেব্রæয়ারি বিকাল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করবেন। মেলা চলবে পুরো ফেব্রæয়ারি মাসজুড়ে। এ ছাড়া মেলার মূল মঞ্চে ধারাবাহিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এতে মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক গবেষক, মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকরা অংশ নেবেন। সে লক্ষ্যেই ইতোমধ্যে একাডেমির ভেতর স্টলের কাঠামো ও মূলমঞ্চের কাজ অনেকটা শেষ হয়েছে। আর সোহরাওয়াদীর্ উদ্যানে এনে রাখা হয়েছে স্টল স্থাপনের উপকরণ। কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে এগিয়ে নিয়েছেন স্টল তৈরির কাজও। এদিকে পাঠকের হাতে নতুন বই তুলে দিতে প্রকাশকদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। গ্রন্থমেলার শেষ সময়ের প্রস্তুতি হিসেবে তাই এখন ফকিরাপুল, সূত্রাপুর, বাংলাবাজার, শাহবাগ আজিজ সুপার মাকের্ট, পাটুয়াটুলী, কঁাটাবনসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার প্রেস, পেস্টিং, কম্পোজ ও বাইন্ডিং কারখানাতেও চলছে বিরামহীন ব্যস্ততা। খেঁাজ নিয়ে জানা গেছে, সব ধরনের ছুটি বাতিল করে এসব প্রতিষ্ঠানের কমীর্রা দিনরাত পরিশ্রম করে চলছেন। এবার মেলার প্রথম দিন থেকে নতুন বই আনার চেষ্টা করছে প্রকাশনা সংস্থাগুলো। লেখক, সম্পাদকদের মধ্যে চলছে শেষ সময়ের টান টান উত্তেজনা। প্রচ্ছদশিল্পীদেরও দম ফেলার ফুরসত নেই। সব মিলিয়ে সাজ সাজ রব বইমেলাকে ঘিরে।