খরচ করা যায়নি

মেট্রোরেলে বরাদ্দ কমছে ১ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা

২০১৮-১৯ অথর্বছরের নতুন এডিপিতে মেট্রোরেল প্রকল্পে ৩ হাজার ৯০২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু তারা পুরো টাকা খরচ করতে পারছে না।

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
রাজধানীর মিরপুরে চলছে মেট্রোরেল নিমার্ণকাজ Ñফাইল ছবি
দশটি মেগা প্রকল্পের কাজ আরও এগিয়ে নিতে চাইছে সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় বছরে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকার নতুন মূল বাষির্ক উন্নয়ন কমর্সূচির (এডিপি) অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। ২০১৮-১৯ অথর্বছরের নতুন এডিপিতে মেট্রোরেল প্রকল্পে ৩ হাজার ৯০২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। মেট্রোরেল নিমার্ণ প্রকল্পের কাজ দৃশ্যমান করতেই এই বরাদ্দ। ২০১৮ সালের ১০ মে জাতীয় অথৈর্নতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে নতুন এই এডিপির অনুমোদন দেয়া হয়। যদিও সংশোধিত এডিপিতে প্রকল্পের বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে ২ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা। ফলে চলতি বছরে প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা খরচ করতে পারছে না সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র এমন তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে চ‚ড়ান্ত হবে সংশোধিত বাষির্ক উন্নয়ন কমর্সূচির (আরএডিপি)। শেরেবাংলা নগরের এনইসি সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরএডিপি চ‚ড়ান্ত করবেন। এই সভায় মেট্রোরেল প্রকল্পের বরাদ্দ কমানোর প্রস্তাব করা হবে। মেট্রোরেলের বরাদ্দ কমার বিষয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএন সিদ্দিক বলেন, ব্যয় কমানো বা বাড়ানোর বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত দেয়ার কেউ না। শুধু তাদের প্রস্তাবনা জানিয়ে দিয়েছেন। সরকার যখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তখন বরাদ্দ বাড়তেও পারে। কী কারণে বরাদ্দ কমছেÑ এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো মন্তব্য করেননি এমএন সিদ্দিক। উত্তরা থেকে আগারগঁাও পযর্ন্ত অংশের উড়ালপথ এবং স্টেশন নিমাের্ণর কাজ শেষ করার কথা ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর। সূত্র আরও জানায়, প্যাকেজ-০৩ ও ০৪ এর আওতায় উত্তরা নথর্ থেকে আগারগঁাও পযর্ন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও নয়টি স্টেশন নিমাের্ণর কাজ চলছে। উভয় প্যাকেজের কাজ ২০১৭ সালের ১ আগস্ট শুরু হয়েছে। সংশোধিত কমর্পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। টেস্ট পাইল, চেক বোরিং এবং মোট ৭৬৬টি পাইল ক্যাপের মধ্যে ২৩৫টির নিমার্ণ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া মোট ৪৪৮টি পিয়ার হেডের মধ্যে ৮৮টি এবং ৪ হাজার ৫৭৭টি প্রিকাস্ট সেগম্যান্টের মধ্যে ৬১৭টির সম্পন্ন হয়েছে। দৃশ্যমান হয়েছে ৩০০ মিটার ভায়াডাক্ট। সংশোধিত কমর্পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৯ সালের ৩০ জুন এ প্যাকেজের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এর বাস্তব অগ্রগতি ২৪ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং আথির্ক অগ্রগতি ২৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার মেট্রোরেলের বাকি অংশের (মতিঝিল পযর্ন্ত) কাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে ২০২০ সালের মধ্যে। মোট ব্যয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার মধ্যে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে জাপান সরকারের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা ঋণ দিচ্ছে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। উত্তরা থেকে মিরপুর হয়ে মতিঝিল পযর্ন্ত মেট্রোরেলের মোট ১৬টি স্টেশন থাকবে। ২৪টি ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় আপ ও ডাউন রুটে ৬০ হাজার যাত্রী আনা-নেয়া করবে।